
সিয়াম সাধনার মাসে পানি পান করা কমে যায়। দিনের অংশে শরীর থাকে পানিশূন্য। তাই ইফতারের পর খেতে পারেন ডিটক্স ওয়াটার। যাতে মিটে যাবে পানিশূন্যতা। কমবে ওজন। বের হবে সারাদিনে বিভিন্ন কারণে দেহে তৈরি হওয়া টক্সিন উপাদান।
তাজা ফল, সবজি, ভেষজ উপাদান কেটে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভিজিয়ে রাখার
পর যে তরল তৈরি হয় সেটি ডিটক্স ওয়াটার। ডিটক্স ওয়াটার বানানোর জন্য ফল বা সবজি রস না
করে বরং দীর্ঘ সময় ভিজিয়ে রাখা হয়। ফলে সবজি ও ফলের গুণাগুণ পানিতে মিশতে শুরু করে।
এ ছাড়াও শুধু ভেষজ উপাদান মিশ্রিত পানীয় যা শরীরকে ডিটক্সিফাই করে, সেগুলোও এক প্রকার
ডিটক্স ওয়াটার।
সারা দিন রোজার পরে ইফতার শেষ দেহে চাঙাভাব আনতে অনেকে চা, কফি বা কোমল
পানীয় পান করেন। তবে এসব দিয়ে পানির ঘাটতি পূরণ সম্ভব নয়। গবেষণা ও বিশেষজ্ঞরাও তাই
বলছেন।
ইরানের পানি বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক ডা. এফ ব্যাটম্যানগেলিজ বলেন, ‘পানির
বিকল্প কিছুই হয় না। কোনো একটি জিনিসও নেই। না কোনো পানীয়, না কফি, না চা, না অ্যালকোহলযুক্ত
পানীয়। এমনকি ফলের রসও নয়।’
ডিটক্স ওয়াটারে
মিলবে যেসব উপকার
হজম শক্তি বাড়াবে
পাচক স্বাস্থ্য এবং নিয়মিত পেট পরিষ্কার রাখার জন্য আর্দ্রতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোজা রাখলে দীর্ঘস্থায়ী পানিশূন্যতা থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে। যা শরীরে এক ধরণের অলসতা তৈরি করে।
সাধারণ পানি ও ডিটক্স ওয়াটার পরিমাণ মতো খেলে সেটা খাবারকে অন্ত্রের
মধ্য দিয়ে মসৃণভাবে যেতে সাহায্য করতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনাও কমাবে।
রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়ায়
ফল, শাকসবজি ও ফলের রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো রাখতে সহায়তা করতে
পারে। বিশেষ করে, নিয়মিতভাবে ভিটামিন সি খাওয়া হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি হবে।
তাই লেবু, কমলা বা ভিটামিন সি ধরনের ফল বা সবজি দিয়ে ডিটক্স ওয়াটার ইফতারের টেবিলে
যোগ করা উপকারী।
মেজাজ ঠিক রাখবে
এবং শরীরে শক্তির মাত্রা বাড়াবে
হালকা ডিহাইড্রেশনও মেজাজ, মনোযোগ এবং শক্তির মাত্রাকে প্রভাবিত করতে
পারে। তাই সারা দিন রোজার পরে শরীরে শক্তি ফিরিয়ে আনতে ও মেজাজ ঠিক রাখতে ডিটক্স ওয়াটার
ভালো উপায়।
ওজন কমাতে কাজ
করে
পানি ওজন কমাতে ভালো কাজ করে। এমন কি ফল, সবজি বা ভেজষ উপাদান দিয়ে তৈরি
ডিটক্স ওয়াটার দিয়েও একই উপকার পাওয়া সম্ভব। বিশেষ এই পানীয়তে বাড়ায় বিপাক কার্যক্রমের
মাত্রা, যা ইফতার বা সেহেরিতে অতিরিক্ত খাওয়ার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করবে।