Logo
Logo
×

লাইফ স্টাইল

অত্যধিক টিভি দেখলে যে ক্ষতি হয় শিশুদের

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫৬ পিএম

অত্যধিক টিভি দেখলে যে ক্ষতি হয় শিশুদের

ছবি: সংগৃহীত

টিভি দেখা আপনার শিশুসন্তানের জন্য একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। একাধিক গবেষণায় এমনটাই দাবি করেছেন গবেষকরা । অনেক মা-বাবাই বলবেন যে, খুদে টিভি চালিয়ে কার্টুন দেখে বা ছোটদের কোনো অনুষ্ঠান দেখে। কিন্তু গবেষণা বলছে, ১৮ মাস বয়স থেকে ৫ বছর অবধি শিশু যদি ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিভি দেখতে থাকে, তাহলে তার বুদ্ধির বিকাশ থমকে যাবে। সমস্যা আসবে ভাষাতেও।

এ দেশে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ’-এর জার্নালে এ নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। সেখানে গবেষকরা জানিয়েছেন, ৮৭২ শিশুকে নিয়ে একটি সমীক্ষা করে দেখা হয়েছে— ৬ মাস, ১ বছর ও ২ বছর বয়সি শিশুরা যদি দিনে ৩ ঘণ্টারও বেশি টিভি দেখে, তাহলে তাদের মধ্যে নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। এই যেমন— শিশুরা খেলাধুলা ছেড়ে ঘরকুনো হয়ে পড়ে। অন্যের সঙ্গে কথোপকথনে সমস্যা হয়। এমন কিছু ভাষা শেখে, যা তাদের বয়সোচিত নয় এবং তাদের বুদ্ধি, ভাবনাচিন্তা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে।

টিভি দেখলে মনোসংযোগ ও ধৈর্য— দুই-ই নষ্ট হয়। গবেষকরা আরও বলেছেন, যে শিশু বেশি টিভি দেখে তার পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যায় এবং সৃজনশীল ভাবনাও বাধাপ্রাপ্ত হয়। 

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা বেশিক্ষণ টিভি দেখে, তাদের ঘুমের সমস্যাও বেশি হয়। টিভি থেকে বেরোনো আলো মেলাটোনিন নামক হরমোন ক্ষরণে বাধা দেয়। এই হরমোনের তারতম্য হলে ঘুম কমে যায়, অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়— এমনকি ব্যবহারেও বদল আসতে পারে। উদ্বেগ ও অস্থিরতা প্রচণ্ড রকম বেড়ে যেতে পারে।

কোন বয়সের শিশু কত ঘণ্টা টিভি দেখলে কী ক্ষতি হয়, তারও একটা হিসাব রয়েছে। এ নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস’। সেখানকার গবেষকরা জানিয়েছেন—

শিশুর বয়স ১৮ মাস কিংবা তার কম হলে টিভি দেখাই উচিত নয়। ভিডিওকলে শিশু মা, বাবা বা পরিবারের কাউকে দেখতে পারে। তবে আর অন্য কোনো বৈদ্যুতিক ডিভাইস তার সামনে রাখা যাবে না।

১৮ মাস থেকে ২ বছর অবধি দিনে আধ ঘণ্টা টিভি দেখতে পারে শিশু, এর বেশি নয়। এর বেশিক্ষণ টিভির পর্দায় চোখ রাখলে শিশুর বুদ্ধির সার্বিক বিকাশ ব্যাহত হবে।

২ থেকে ৫ বছর অবধি দিনে ১ ঘণ্টা টিভি দেখা যেতে পারে। তবে তা শিক্ষামূলক কোনো অনুষ্ঠান হতে হবে। শিশু টিভি দেখার সময়ে পাশে অভিভাবককে থাকতে হবে।

শিশুর টিভি দেখার নেশা ছাড়াতে হলে অভিভাবকদেরই উদ্যোগ নিতে হবে। নিজের টিভি দেখার নেশা থাকলে সেটাও ঝটপট কমিয়ে ফেলুন। আপনার প্রিয় কোনো অনুষ্ঠান দেখতে হলে মোবাইল ও ট্যাবে দেখুন। টিভি দেখার সময়টুকু খেলাধুলা বা পছন্দের সৃজনশীল বিষয় শিখতে ভর্তি করে দিন অথবা আপনারাই শিশুকে সঙ্গ দিন। তাতেও অনেকটা কাজ হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম