Logo
Logo
×

লাইফ স্টাইল

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে যেসব খাবার

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে যেসব খাবার

ছবি: সংগৃহীত

বছরের অধিকাংশ সময়ই সর্দি-কাশির মতো সমস্যায় ভুগতে দেখা যায় কিছু কিছু ব্যক্তিকে। এর কারণ দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তবে খাদ্যতালিকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী খাদ্য যোগ শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদন, প্রদাহ কমানো এবং সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হতে পারে।

১০টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী উপাদান যা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করা উচিত তা হলো: 

১. ভিটামিন সি: ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এটি অপরিহার্য। এটি প্রদাহও কমায় এবং শরীরকে অসুস্থতা থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।

২. ভিটামিন ডি: ভিটামিন ডি টি-কোষ সক্রিয় করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি-এর অভাব শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত। সূর্যের আলো, চর্বিযুক্ত মাছ (স্যামন, ম্যাকেরেল), ডিমের কুসুম এবং শক্তিশালী দুগ্ধজাত দ্রব্য শরীরের ভিটামিন ডি’র চাহিদা পূরণ করে। 

৩. জিংক: জিংক কোষের কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে আরও কার্যকরভাবে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি ক্ষত নিরাময়কে ত্বরান্বিত করে এবং সর্দি-কাশির তীব্রতা কমায়। বাদাম, বীজ, মসুর ডাল, ছোলা, শেলফিশ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য জিংক সমৃদ্ধ।

৪. আয়রন: শরীরে অক্সিজেন পরিবহনের জন্য আয়রন অপরিহার্য এবং রোগ প্রতিরোধক কোষ উৎপাদনে সহায়তা করে। আয়রনের মাত্রা কম থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যেতে পারে, যার ফলে ঘন ঘন অসুস্থতা দেখা দেয়। লাল মাংস, পালং শাক, মসুর ডাল, কুইনোয়া এবং শক্তিশালী সিরিয়াল- আয়রন সমৃদ্ধ খাবার।

৫. সেলেনিয়াম: সেলেনিয়াম হলো একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা প্রদাহ কমায় এবং রোগ প্রতিরোধক কোষের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ায়। এটি কোষের ক্ষতি রোধেও ভূমিকা পালন করে।  ব্রাজিল বাদাম, সূর্যমুখী বীজ, ডিম, টুনা এবং বাদামী চাল সেলেনিয়ামের যোগান দেয়। 

৬. প্রোবায়োটিক: প্রোবায়োটিক হলো উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে।  একটি সুস্থ অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। দই, কেফির, কিমচি, সাউরক্রাউট এবং মিসো আপনার প্রোবায়োটিক গ্রহণকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।

৭. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: ওমেগা-৩-এ প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং অটোইমিউন রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এগুলো রোগ প্রতিরোধক কোষের কার্যকারিতাও বাড়ায়। চর্বিযুক্ত মাছ (স্যামন, সার্ডিন), তিসির বীজ, আখরোট এবং চিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ থাকে।

৮. ভিটামিন এ: ভিটামিন এ শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে এবং ত্বক এবং মিউকোসাল বাধার অখণ্ডতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। গাজর, মিষ্টি আলু, পালং শাক, লিভার এবং ডিম এই ভিটামিনের একটি দুর্দান্ত উৎস।

৯. ভিটামিন ই: ভিটামিন ই একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রোগ প্রতিরোধক কোষকে রক্ষা করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শরীরের ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ত্বকের স্বাস্থ্যকেও পুষ্টি যোগায়। বাদাম, বীজ, অ্যাভোকাডো এবং পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে। 

১০. ম্যাগনেসিয়াম: ম্যাগনেসিয়াম রোগ প্রতিরোধক কোষের কার্যকারিতায় ভূমিকা পালন করে এবং প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি ঘুমের মানও উন্নত করে।  ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদা পূরণে খাদ্যতালিকায় বাদাম, আস্ত শস্য, ডার্ক চকলেট, কলা এবং শাকসবজি যোগ করতে পারেন। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম