Logo
Logo
×

লাইফ স্টাইল

মিষ্টি আর ভাজাপোড়া খাওয়ার ইচ্ছা, অবসাদ নয় তো?

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:১৬ পিএম

মিষ্টি আর ভাজাপোড়া খাওয়ার ইচ্ছা, অবসাদ নয় তো?

সাধারণত অবসাদ বলতে আমরা বুঝি—খাওয়াদাওয়ায় অরুচি। খাওয়ার ইচ্ছা থাকে না, এনার্জি থাকে না; মূলত অনীহা তৈরি হয়। আবার গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, অবসাদ খাওয়াদাওয়ার ইচ্ছাশক্তি বাড়িয়ে দিতেও পারে। 

স্লিম, সুন্দর ও স্মার্ট হওয়ার জন্য শর্করায় নিয়ন্ত্রণ টানতে চাইছেন। কিন্তু মিষ্টি দেখলেই বাড়িয়ে দিচ্ছেন হাত। দিনভর হয় লুচি-পরোটা-কচুরি আর ন্যুডলসের মতো ময়দাজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছা হচ্ছে, নয় তো আলুভাজা আর ফুচকা খেতে ইচ্ছা করছে। এবং খাওয়াও হচ্ছে। আর শর্করায় রাশ টানার বদলে আপনি শর্করার পেছনেই ছুটছেন সারাক্ষণ। বিষয়টি সহজ-সরল মনে হলেও আদতে এর নেপথ্যে থাকছে জটিল সমস্যা। একটি গবেষণা বলছে— শর্করাজাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা মানসিক অবসাদের উপসর্গও হতে পারে।

জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেই প্রতিবেদনের লেখক ও বন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সাইকোলজির অধ্যাপক নিলস ক্রিমার লিখেছেন—সাধারণত অবসাদের রোগীদের খাওয়াদাওয়ার ইচ্ছে থাকে না বলেই একটি সাধারণ ধারণা রয়েছে। কিন্তু গবেষণায় দেখা যাচ্ছে— অবসাদ খাওয়াদাওয়ার ইচ্ছা বাড়িয়ে দিতেও পারে। ওই গবেষণার অঙ্গ হিসাবে ১১৭ জনের ওপর একটি পরীক্ষা চালিয়েছিলেন বন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এর মধ্যে ৫৪ জন ছিলেন মানসিক অবসাদের রোগী। ৬৩ জন সুস্থ মানুষ। তাদের খাবারদাবারের পছন্দ-অপছন্দের তালিকার ভিত্তিতেই ওই তত্ত্বে পৌঁছেন গবেষকরা।

এ নিয়ে গবেষণাধীন ১১৭ জনকে দুই ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছিল। এক. তারা কোন খাবারটি চাইছেন এবং কোন খাবার তাদের ভালো লাগছে। নিলস জানিয়েছেন, ওই গবেষণায় দেখা গেছে— অবসাদগ্রস্তদের মধ্যে খাবার চাওয়ার হার কম। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তারা খাবার পছন্দ করেন না। 

তবে তাদের কেউ-ই প্রোটিন বেশি বা ফ্যাট বেশি এমন খাবার পছন্দ করেননি। এর বদলে যে খাবার বেছে নিয়েছেন, তাতে শর্করা ও স্নেহপদার্থের মাত্রা বেশি। যেমন মিল্ক চকোলেট।

সাধারণত যারা শর্করা বেশি খান, তাদের খিদে বেশি পায় বলে একটা ধারণা রয়েছে। কিন্তু গবেষক লিলি থর্ন বলেছেন—গবেষণাসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, শর্করা খাওয়ার ইচ্ছা অবসাদের মাত্রার ওপরেও নির্ভর করে। বিশেষ করে যারা উদ্বেগে ভোগেন, তাদের মধ্যে এই প্রবণতা আরও বেশি। আমাদের মনে হয়, ওই তত্ত্ব ভবিষ্যতে মানসিক অবসাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সাহায্য করতে পারে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম