![স্বাস্থ্যের শত্রু যে ৫ অভ্যাস](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/02/10/5-679eaa1b64a0d-67a99ff39baa3.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল—প্রবাদটি তখন হাড়ে হাড়ে টের পাবেন, যখন অসুস্থ হবেন। কিছু অভ্যাস যেমন স্বাস্থ্যে খুব উপকার করে, তেমনি উল্টো প্রতিক্রিয়াও ফেলে। তবে কিছু অভ্যাস আছে যা প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের রয়েছে। যেসব নিভৃতে স্বাস্থ্যে বড় ক্ষতি করে।
ক্ষোভ পুষে রাখা: অন্যায়ের শিকার হওয়ার পর রাগ এবং তিক্ততা ত্যাগ করা কঠিন হতে পারে। তবে ক্ষোভ পুষে রাখলে সেই ফল আরও বাজে হবে। ক্ষোভ পুষে রাখলে তা নেতিবাচক অনুভূতি তৈরি করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করতে পারে। এর ফলে হৃদরোগ এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়, উদ্বিগ্ন এবং চাপগ্রস্ত করে, বার্ধক্য প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে এবং সম্পর্কের বন্ধন নষ্ট করতে পারে।
একাকিত্ব: বলা হয়, একাকিত্ব তারকাদের জন্য আশীর্বাদ, বাকিদের জন্য অভিশাপ। তবে কখনও কখনও আমরা একাকিত্ব পছন্দ করি। কিন্তু একাকী অতিরিক্ত সময় কাটানো মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। সব সময় অন্যদের দ্বারা বেষ্টিত থাকলে সামাজিক ব্যস্ততা মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে। তবে সমস্ত সময় একা কাটালে মস্তিষ্ক একই উদ্দীপনা পায় না। এর ফলে হতাশা, উদ্বেগ এবং এমনকি ডিমেনশিয়াও হতে পারে।
অতিরিক্ত বসে থাকা: গবেষণায় দেখা গেছে যে, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে হৃদরোগ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। যত বেশি সময় বসে থাকবেন, তত বেশি অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি থাকবে।
পর্যাপ্ত পানি পান না করা: পানির অপর নাম জীবন। যেহেতু শরীরের ৬০% পানি দিয়ে তৈরি, তাই এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে পানি পান করলে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ বজায় রাখলে ত্বক নমনীয় থাকে, উষ্ণ আবহাওয়া শরীর ঠান্ডা হতে সাহায্য করে, পেশী এবং জয়েন্টের কার্যকারিতা উন্নত হয় এবং কিডনি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে সহায়তা করে।
রাতে দেরিতে খাওয়া: রাতে দেরিতে খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিক হেলথ-এ প্রকাশিত ২০২০ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, ঘুমানোর ঠিক আগে খাওয়ার অভ্যাস ঘুম নষ্ট করতে পারে।