কথায় আছে, স্লিম ইজ স্মার্ট। স্থুলতা কে চায়, কার না ছিপছিপে শরীর পছন্দ। তবে উপমহাদেশ তথা বাঙালিদের যেন সব উল্টো। হাজারো কসরত কিংবা ডায়েটের পরও সেই আগের মতো। দুই কেজি ওজন কমলে হুট করে বেড়ে যায় চার কেজি! কিন্তু কখনো খেয়াল করেছেন জাপানি মেয়েদের বা ছেলেদের?

তারা আমাদের মতোই খায়, নিয়ম মেনে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমায়। ব্যায়াম করে কসরত করে কিন্তু শরীরে তাদের এতটুকু যেন মেদ নেই। এরপেছনে কি কারণ হতে পারে— খাদ্যাভাস নাকি পরিবেশ? শরীরের  গড়নের ক্ষেত্রে পরিবেশ একটা জায়গা নিয়ে থাকলেও খাদ্যাভাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। জাপানিরা নির্দিষ্ট কিছু অভ্যাস গড়ে তুলেছেন। তাই তাদের শরীর হুট করেই অস্বাভাবিকভাবে বাড়ে না এবং চেহারায় আলাদা জেল্লা থাকে।

জাপানিদের নিয়ম

শরীরচর্চা: প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করতেই হবে। জাপানি ছেলেমেয়েরা শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও নিয়ম করে ব্যায়াম করেন। হাঁটাহাঁটি, সাইকেল চালানো, জগিং অভ্যাসে থাকেই। তাছাড়া মন ভাল রাখতে বাগানও করেন অনেকে। গাছপালার পরিচর্যা করেন নিয়মিত।

ধীরে খান: সময় ধরে খাওয়া ও সময় নিয়ে খাওয়া—এই দুই অভ্যাসই শরীরে মেদ জমতে দেয় না। দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার অভ্যাস যেমন ঠিক নয়, তেমনই খাওয়ার সময়ে তাড়াহুড়ো করে প্রায় না চিবিয়েই খেয়ে ফেলার অভ্যাসও ক্ষতিকর। জাপানিরা এই নিয়ম কঠোর ভবেই মানেন।

মেপে খাওয়া: জাপানিরা সব সময়ে ছোট প্লেটে করে খাবার নেন। ভাত খেলে ছোট বাটিতে ভাত নেন। পরিমিত খাবারই খান। শুধু পরিমাণ মেপে খাওয়া নয়, ক্যালোরি মেপে খাওয়াও জরুরি। রোজের ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট পরিমিত মাত্রায় থাকায় জরুরি। জাপানিরা এই নিয়মই মেনে চলেন।

গ্রিন টি: শেষপাতে মিষ্টি বা দুগ্ধজাত খাবার নয়, বরং খাওয়ার পরে গ্রিন টি খেতেই বেশ পছন্দ করেন জাপানিরা। দুধ-চিনি দিয়ে চা বা ঘন ঘন কফি খাওয়ার অভ্যাস নেই তাঁদের। এতে শরীরে ক্যাফিন কম জমা হয়। গ্রিন টি-র অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। প্রদাহজনিত রোগের আশঙ্কা কমায়।