Logo
Logo
×

লাইফ স্টাইল

শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি বুঝবেন যেভাবে

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম

শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি বুঝবেন যেভাবে

মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ম্যাগনেশিয়ামের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নারীদের প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম, পেলভিক ব্যথা এবং মেনোপজের লক্ষণ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে এই খনিজ। 

শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকলে গর্ভবতী নারীদের শারীরিক জটিলতা কম হয়। এ ছাড়াও ম্যাগনেশিয়াম মাথাব্যথা, উদ্বেগ, এমনকি ঘুমের ব্যাঘাত নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। 

গবেষণা বলছে, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন বি 6-এর সংমিশ্রণ প্রিমেনস্ট্রুয়াল (PMS) লক্ষণগুলোকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে। তাই নারীদের ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত।

ম্যাগনেশিয়াম ঘাটতির প্রাথমিক লক্ষণ

ক্ষুধা কমে যাওয়া

ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতির প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে একটি হল ক্ষুধা কমে যাওয়া। আসলে ম্যাগনেশিয়াম নিউরোট্রান্সমিটার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এর মাত্রা কমে গেলে, সেই সংকেত ব্যাহত হয়, ফলে ক্ষুধা কমে যায়। শরীরে এরকম লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

বমি এবং বমি ভাব

ম্যাগনেশিয়াম ঘাটতির আরেকটি লক্ষণ হল বমি এবং বমি ভাব। ম্যাগনেশিয়ামের অভাবে হজমশক্তি ব্যাহত হলে এই সমস্যা হতে পারে। অপর্যাপ্ত ম্যাগনেশিয়ামের কারণে স্বাভাবিক গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ফাংশন ব্যাহত হতে পারে। যার ফলে অস্বস্তি, বমি এবং বমি ভাব হয়। ঘাটতি বাড়তে থাকলে বমি বাড়তে পারে। কোনও কারণ ছাড়াই ঘন ঘন বমি বা বমি ভাব মনে হলে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা উচিত।

ক্লান্তি এবং দুর্বলতা

ক্লান্তি এবং পেশী দুর্বলতা ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতির আরেকটি সাধারণ লক্ষণ। শরীরে শক্তি উৎপাদনের জন্য ম্যাগনেসিয়াম অপরিহার্য। ম্যাগনেশিয়ামেরঅভাবে খাদ্যকে ব্যবহারযোগ্য শক্তিতে রূপান্তর করতে শরীরকে কসরত করতে হয়। ফলে শরীর সারাদিন ক্লান্ত এবং দুর্বল বোধ হতে থাকে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং পুষ্টি সত্ত্বেও শরীরে ক্লান্ত-অবসন্ন ভাবে থাকে।

ঋতুস্রাবের সময় শারীরিক ব্যথা

কম ম্যাগনেশিয়ামের কারণে নারীদের পিরিয়ড ক্র্যাম্পের কষ্ট খুব সাধারণ লক্ষণ। ম্যাগনেসিয়াম পেশীকে শিথিল করতে সাহায্য করে, এবং ম্যাগনেশিয়ামেরঅভাবে পিরিয়ডের সময় পেশীতে টান বাড়াতে থাকে। প্রায়ই যদি পিরিয়ড ক্র্যাম্পে কষ্ট পান তা হলে ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন।

ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতির আরও কয়েকটি গুরুতর লক্ষণ

ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি বাড়তে শুরু করলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে অসাড়তা বা ঝাঁকুনি, খিঁচুনি, ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন (যেমন উদ্বেগ বা বিষণ্ণতা), অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, এমনকি করোনারি খিঁচুনিও হতে পারে।

ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি পূরণ

শরীরে ম্যাগনেশিয়ামেরঘাটতি দেখা দিলে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ মেনে চলা প্রয়োজন। এ ছাড়াও খাদ্যতালিকায় ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজি, বিশেষ করে পালংশাক ম্যাগনেশিয়ামেরভালো উৎস। 

মটরশুঁটি, ছোলা, মসুর ডাল, বাদাম, ব্রাজ়িলিয়ান নাট, আমন্ড, কুমড়ো এবং তিসির বীজও ম্যাগনেশিয়ামেরদুর্দান্ত উৎস। এছাড়াও পাতে রাখুন বাদামি চাল এবং কুইনোয়া সহ গোটা শস্য।

ডার্ক চকোলেটে আছে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম। এতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও। ডার্ক চকোলেট মন ভালো রাখতেও সাহায্য করে। তবে বেশি নয়, এক টুকরো খেতে পারেন। প্রতিদিন ডার্ক চকোলেট না খেয়ে মাঝেমধ্যে পরিমিত পরিমাণে খেলেই ভালো।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম