শীত শুরু হয়েছে। এ সময় আপনার হাত ও পায়ের ত্বক কোমল রাখা চাই। আর রুক্ষ ত্বকে জেল্লা ফেরাতে চাই বিশেষ কিছু। আপনার শরীরের নানা সমস্যার মধ্যে একটি হলো হাতের ত্বকের রুক্ষতা।
ঠান্ডায় গায়ে সোয়েটার, চাদর ও মাফলার চাপানো হলেও হাতে চাপা দেওয়ার জো থাকে না। হাতে গ্লাভস পরার মতো ঠান্ডা সচরাচর পড়ে না। আর গ্লাভস পরে কাজ করাও মুশকিল। কিন্তু এ সময় ত্বকের কোমলতা থাকে না। তাই জেল্লা ফেরাতে বিকল্প কিছু ভাবতে হয়।
আর শীতের রুক্ষতা যাবতীয় অত্যাচার চালিয়ে যায় হাতের ত্বকের ওপরে। আর্দ্রতা হারিয়ে ৩০ বছরের যুবতীর হাতও দেখতে লাগে বয়স্কদের মতো। ময়েশ্চারাইজার দিয়ে সাময়িক সমস্যা মুক্তি হলেও শীতে হাতের রুক্ষতা কাটাতে হলে দরকার বাড়তি যত্ন-আত্তি।
শুরুতেই রাতে ঘুমানোর আগে ময়শ্চারাইজার ছাড়া কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল ভালো করে হাতে মাসাজ করে নিতে পারেন। স্নান করার আগেও হাতে ভালো করে তেল মেখে নিতে পারেন। হাত অতিরিক্ত শুকিয়ে গেলে অলিভ অয়েল মাসাজ করলেও কাজ হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে রুক্ষ ত্বকে জেল্লা ফেরাবেন।
১. দইয়ের প্যাক
দুই টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে সামান্য দুধ অথবা টকদই আর এক ফোঁটা হলুদ গুঁড়ো দিয়ে মিহি মিশ্রণ তৈরি করুন। সনের আগে দুই হাতে ভালো করে সেই মিশ্রণ মেখে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন হাতের ত্বক কেমন উজ্জ্বল আর মসৃণ দেখাচ্ছে।
২. লেবু-চিনি
রুক্ষতা কোনোভাবেই না কাটলে এক্সফলিয়েশন করুন। অর্থাৎ মৃত কোষ মুক্ত করুন হাতের ত্বককে। দুই চামচ যে কোনো ভেজিটেবিল অয়েলের সঙ্গে, দুই চামচ পাতিলেবুর রস ও তিন চামচ চিনি মিশিয়ে ভালো করে হাতে মাসাজ করুন। মিনিট পাঁচেক ঘষার পর কিছুক্ষণ রেখে হাত স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। রুক্ষ ত্বক কোমল ও মসৃণ হবে।
৩. অবসরের প্যাক
আপনি আলাদা করে সময় ব্যয় না করেও হাতের যত্ন নিতে পারবেন। অবসর সময়ে যেমন টিভি দেখতে দেখতে বা রান্নাঘরে দাঁড়িয়েও হাতে অল্প গ্লিসারিনের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে মাসাজ করতে পারেন। হাত নরম হবে।