নারীদের পিরিয়ড একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। ইংরেজিতে এটাকে Menstrual cycle বলে। নারীদেহের ২৮ দিনের একটি পর্যায়ক্রমিক প্রক্রিয়াকে বোঝায়।
প্রথম শুরু হয় ১০ থেকে ১৬ বছর বয়সের মধ্যে। নয় বছর বয়সেও হতে পারে। এটা সাধারণত ভৌগোলিক আবহাওয়া, শারীরিক শক্তির ওপর নির্ভর করে হয়ে থাকে। তারপর থেকে প্রতি মাসে নিয়মিতভাবে হয়।
পিরিয়ডের নির্দিষ্ট কয়েকটা দিন প্রত্যেক নারীর কাছেই বিভীষিকাময়। অস্বস্তি বা দুর্বল শরীরের কথা বাদ দিলেও যে সমস্যা সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়, তা হলো ব্যথা। কোমর, তলপেটের অসহ্য ব্যথাতেই কাহিল হয়ে পড়েন বেশিরভাগ নারী। ব্যথা বাড়তে বাড়তে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
অধিকাংশ নারী পিরিয়ডের ব্যথাকে বাধ্য হয়ে সহ্য করেন। যারা সহ্য করতে পারেন না তারা ব্যথার ওষুধ খান। আর এ ওষুধ যে কতটা ক্ষতিকারক তা নিশ্চয়ই নতুন করে বলে দিতে হবে না। তার চেয়ে পিরিয়ডের যন্ত্রণায় কষ্ট না পেয়ে একটি ঘরোয়া টোটকা মেনে দেখুন। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন এই টোটকা কয়েক মিনিটের মধ্যেই পিরিয়ডের ব্যথা কমিয়ে দিতে পারে।
পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে খেয়ে দেখুন আদা-মধু দিয়ে তৈরি এক মহৌষধ। এক চামচ আদার রস এবং এক চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে দিনে দুইবার করে খান। পিরিয়ডের ব্যথা কমবে, পেট ফাঁপা এবং বদহজমের হাত থেকেও মুক্তি পাবেন।
আদার রস এবং মধু পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। আদায় থাকে জিঞ্জেরল নামের একটি যৌগ। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণে ভরপুর। আদার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এবং অ্যানালজেসিক বৈশিষ্ট্য। আদার রস ব্যথা, ফোলাভাব, পেটফাঁপা এবং বদহজম দূর করতে সাহায্য করে।
আদা শরীরে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনের মাত্রা কমিয়ে পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। আদা শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং এটি পিরিয়ডকে নিয়মিত করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আদার রস এবং মধু একসঙ্গে খেলে আধ ঘণ্টার মধ্যেই পিরিয়ডের ব্যথা কমে যাবে। আদার রস রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং পিরিয়ডের ব্যথা কমায়। তলপেটে আইসব্যাগে গরম জলের সেঁকও দিতে পারেন।
পিরিয়ডের সময় খাবারে পুষ্টিকর জিনিস রাখুন। ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করুন। উষ্ণ গরম জলে স্নান করুন। পিরিয়ডের সময়ে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।