ছবি: সংগৃহীত
ফ্যাটি লিভার বর্তমানে বেশির ভাগ মানুষের জীবনে একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যাটির কারণে পাকস্থলি ও অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। আর এর ফলে লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে লিভারে ফুলে যায় এবং দাগ পড়ে। যার কারণে লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আজকাল নন-অ্যালকোহলিক স্টেটোহেপাটাইটিস দেখা দেয়। যার কারণে ফ্যাটি লিভার এবং তারপর লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি হতে পারে। এ কারণে লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
লিভারে ফ্যাট জমার কারণ কী?
চিকিৎসকদের মতে, ভারত ও ইউরোপে জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসে অনেক পরিবর্তন এসেছে, যার কারণে ডায়াবেটিসের মতো মেটাবলিক সিনড্রোম বাড়ছে। এ কারণে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্তের ঘটনাও বাড়ছে। ওজন কম থাকলে এই রোগে আক্রান্তের সম্ভবনাও বেশি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এবং অ্যালকোহলিক লিভার ডিজিজ উভয়ই স্টেটোসিস থেকে স্টেটোহেপাটাইটিস, সিরোসিস এবং এইচসিসি পর্যন্ত একই রকম প্রভাব দেখা যায়।
চিকিৎসকদের পরিসংখ্যান মতে, ভারতীয় উপমহাদেশে, এই রোগটি প্রায় ২০% লোকের মধ্যে রয়েছে যাদের শরীরের ওজন খুব কম। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্স ইনস্টিটিউটে লিভারের রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিরোধের জন্য একটি ভার্চুয়াল নোড শুরু হয়েছে। যেখানে ফ্রান্সের ১১ জন এবং ভারতের ১৭ জন চিকিৎসক একসঙ্গে কাজ করবেন।
ফ্যাটি লিভার এড়ানোর উপায় কী?
খাবারে চর্বি ও কার্বোহাইড্রেট কমানো, শারীরিক পরিচর্চা বাড়ানো, সঙ্গে লিভারের চর্বি কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। ফ্যাটি লিভারের কারনে হতে পারে ক্যান্সার! নন-অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত রোগীদের লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।