মাইগ্রেন ব্যথায় মুঠো মুঠো ওষুধ খাচ্ছেন? আস্থা রাখুন ঘরোয়া উপাদানে
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০০ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নিজে নিজে ওষুধ সেবন করলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। কারণ ওষুধ না খেয়ে বরং নিয়ম মেনে চলারই পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা। মুঠো মুঠো ওষুধেই যে মাইগ্রেন সারবে তা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। বরং এমন কিছু দামি ওষুধ বাজারে আছে, যা ব্যথা তো সারাতে পারেই না, উল্টো বিভিন্ন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণ হয়ে উঠছে। ‘বিএমজে’ বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এমনটিই দাবি করা হয়েছে।
গবেষকদের বক্তব্য, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ গ্রহণ করা ঠিক নয়। নিজে নিজে ওষুধ কিনে খেলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। এমন অনেকেই আছেন, যারা ব্যথা শুরু হলেই দোকান থেকে ব্যথানাশক ওষুধ কিনে খান। ওষুধের ডোজ কী, কখন খেতে হবে তা না জেনেই খেয়ে ফেলেন। ওষুধ না খেয়ে বরং নিয়ম মেনে চলারই পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিজ্ঞানীও আছেন এ গবেষণায়। তারা দাবি করেছেন— ব্যথানাশক সব ওষুধ নিরাপদ ও সুরক্ষিত নয়। বেশি ডোজ খেয়ে ফেললে নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
মাইগ্রেন হলো এক ধরনের ‘নিউরোলজিক্যাল’ রোগ। চিকিৎসকরা বলেন, মাথার একদিকেই ব্যথা হয় বেশি। সারাক্ষণ দপদপ করতে থাকে। সাধারণত ৪৮ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা অবধি ব্যথা থাকতে পারে। মাইগ্রেনের ব্যথার অনেক রকম লক্ষণ আছে। সবার ক্ষেত্রে তা সমান নয়। কাজেই একই ওষুধ সবার ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে—এমনটি ভাবা ঠিক নয়। তা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তার চেয়ে কিছু নিয়ম মানলেই ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
একটি ভিজে তোয়ালে মিনিট পনেরোর জন্য ফ্রিজে রাখুন। ব্যথা শুরু হলেই ওই ঠান্ডা তোয়ালে মাথায় ও চোখের ওপর রেখে দিন। ব্যথা অনেক কমে যাবে। এ ছাড়া চন্দন পানি দিয়ে গুলে ব্যথার জায়গায় লাগালেও আরাম পাওয়া যাবে। চন্দন খুব ঠান্ডা। এই মিশ্রণের প্রলেপ লাগালে যন্ত্রণা অনেক কমে যাবে।
আর মোবাইল ও টিভির পর্দায় চোখ রাখা নিষেধ। কারণ চোখকে বিশ্রাম দিতে হবে। কম্পিউটারের সামনে বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ করার অভ্যাস থাকলে তা বদলে ফেলুন। চেয়ার থেকে মাঝে মাঝে ওঠে একটু হাঁটাহাঁটি করুন। চোখে পানি দিন।