সন্তানের স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ওজন কমানোর উপায়
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ১১:৫৪ এএম
আজকালকার সন্তানেরা মাঠে-ময়দানে খেলে না। তাদের কাছে খেলা বলতে মোবাইল কিংবা কম্পিউটার গেমস। আর এভাবে বাড়িতে অলস বসে থাকার কারণে আপনার সন্তানের ওজন বাড়ে। এর পাশাপাশি তাদের অত্যধিক ফাস্টফুড, চিপস ও চকলেটপ্রীতিও ওজন বাড়ায়। তবে মনে রাখবেন, আপনার সন্তানের ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি হলে তার শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে হতে পারে একাধিক জটিল রোগ। তাই আপনার সন্তানের ওজন কমানো জরুরি হয়ে পড়ছে।
আপনার সন্তানের ওজন বেশি মানে দুশ্চিন্তার কারণ। অল্প বয়সেই শরীর ভারি মানে দ্রুত মেদ বাড়ছে। তাহলে দ্রুতই কমিয়ে ফেলান আপনার সন্তানের মেদ। আর শরীরের মেদ কমাতে আপনাকে সাহায্য করবে কয়েকটি উপকারী খাবার। আপনার যেসব খাবারের গুণে সন্তানের শরীরের মেদ কমাবেন তা জেনে নিন।
আপনি চাইলে আপনার সন্তানের ব্রেকফাস্টে ওটসের মতো একটি উপকারী সবজিকে জায়গা করে দিতে পারেন। তাতেই তার ওজন এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে।
আসলে ওটস হলো ফাইবারের ভাণ্ডার। যার ফলে এই খাবার খেলে দীর্ঘক্ষণ ভরাট থাকে পেট। সে কারণে আপনার সন্তান বেশি আজেবাজে খাবার খেতে পারে না। তাই ওজন কমে। সুতরাং কাল সকাল থেকেই সন্তানের ব্রেকফাস্টে এই খাবারকে জায়গা করে দিন।
আপেল
আপেল হলো ফলের মধ্যে সেরাদের সেরা। আমাদের অতি প্রিয় আপেল ফাইবারের ভাণ্ডার। যে কারণে এই ফল খেলে ওজন কমে। শুধু তাই নয়, এতে মজুত ভিটামিন ও খনিজের গুণে একাধিক অসুখ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা যায়। তাই ছোট্ট সোনাকে রোজ একটা করে আপেল খাওয়ান।
তবে চেষ্টা করুন আপনার সন্তানকে আপেলের জুস না খাওয়ানোর। কারণ এই ফলের জুস করে খেলে তেমন একটা উপকার তো মিলবেই না, উল্টে শরীরের ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই তাকে প্রতিদিন অ্যাপেল জুস খাওয়া থেকে বিরত রাখবেন।
অ্যাভোকাডো
আপনি চাইলে অ্যাভোকাডোর শরণাপন্ন হতে পারেন। কারণ সেরার সেরা একটি ফল হলো অ্যাভোকাডো। এতে রয়েছে উপকারী ফ্যাটের ভাণ্ডার, যা কিনা সন্তানের হার্ট ও ব্রেনের জন্য উপকারী। এমনকি এতে মজুত ভিটামিন সির গুণে বাড়ে ইমিউনিটি। এর পাশাপাশি এই ফলে বেশ কিছুটা পরিমাণে ফাইবারও রয়েছে। যে কারণে নিয়মিত অ্যাভোকাডো খেলে সন্তানের ওজন কমে যেতে সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে তার শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে।
ভরসা রাখুন মাছ ও চিকেনের ওপর
ভরসা রাখুন মাছ ও চিকেনের ওপর। আপনার সন্তানের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মিটে গেলেই পাবেন হাজার উপকার। বাড়বে তার পেশিশক্তি। ঝরে যাবে মেদ। তাই সন্তানকে নিয়মিত চিকেন ও মাছ খাওয়ান। তাতেই দেহে প্রোটিনের অভাব মিটে যাবে।
তবে ছোট্ট সোনাকে ২ কেজির বেশি ওজনের মাছ খাওয়াবেন না। এসব মাছে বেশি পরিমাণে ফ্যাট থাকে, যা কিনা বাড়াতে পারে ওজন। তাই তাকে ছোট সাইজের মাছ খাওয়ান। আর চেষ্টা করুন মুরগির বুকের দিকের মাংস খাওয়ানোর। এই কাজটা করলেই তার ওজন কমে যাবে।
রুটির জুড়ি মেলা ভার
আপনার সন্তানের পাতে এবার থেকে রুটিকে জায়গা করে দিন। কারণ আটার রুটিতে রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান ওজন কমায়। তাই ছোট্ট সোনাকে রুটি খাওয়াতে ভুলবেন না। এর পাশাপাশি তাকে ব্রাউন রাইস বা ডালিয়াও খাওয়াতে পারেন। তাতেও শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই ঝটপট এই কাজে লেগে পড়ুন।
বি. দ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।