বয়স বাড়লে চুলে পাক ধরাটা স্বাভাবিক। তবে এখন স্কুল-কলেজে পড়া ছাত্র- ছাত্রীদের মাথাও ভরে যাচ্ছে সাদা চুলে। এই সমস্যা কারও কারও জীবনে বিভীষিকা হয়ে দেখা দেয়। পাকা চুল কালো করার জন্য বাজারচলতি একাধিক জিনিস পাওয়া যায়। তবে রাসায়নিক মেশানো এই সব প্রসাধনী চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়। অথচ রোজ দশ মিনিট সময় খরচ করলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। ভাবছেন কীভাবে?
দু’হাতের নখ একসঙ্গে ঘষে দেখেছেন কখনও? হ্যাঁ, হাতের আঙুল মুড়ে দুই হাতের নখ একসঙ্গে ঘষলেই চুলে পাক ধরার সমস্যার সমাধান সম্ভব। যোগে এই ব্যায়ামের জুড়ি মেলা ভার। এই ব্যায়াম বালায়াম নামেও পরিচিত, যার আক্ষরিক অর্থ হল ‘চুল ব্যায়াম’।
এই ব্যায়াম শুধু চুলের অকালপক্বতা রোধ করে না, বালায়াম করলে চুল পড়ার সমস্যাও কমে। তবে এই ব্যায়াম করার সময়ে বুড়ো আঙুলের নখ ভুলেও ঘষবেন না। তা হলে মুখে অবাঞ্চিত লোমের প্রকোপ বাড়বে। সারা দিনে মিনিট দশেক এই ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন যোগবিদরা।
বালায়াম ব্যায়াম শুধু চুলের অকালপক্বতা রোধ করে না, বালায়াম করলে চুল পড়ার সমস্যাও কমে।
নখের ডগায় যে স্নায়ুগুলি থাকে, নখের সঙ্গে নখ ঘষলে সেইগুলো উদ্দীপিত হয়ে মস্তিষ্কে বার্তা পাঠায়। মস্তিষ্ক তখন মাথার ত্বকের মৃত ফলিকলগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করে। ফলে চুলের গোড়া মজবুত হয়। তা ছাড়া, নখে নখ ঘষলে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালনের হার বাড়ে। ফলে মাথার ত্বকেও ভালো মাত্রায় রক্ত পৌঁছায়। যার ফলে চুলের গোড়া মজবুত হয়, চুল পড়ার সমস্যা কমে এবং পাকা চুলের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
এর পাশাপাশি এই যোগাসনটি করলে মন শান্ত হয়, কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ে। শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হলে হৃদ্যন্ত্র আর ফুঁসফুসও ভাল থাকে।
কাদের ক্ষেত্রে এই ব্যায়াম ক্ষতিকর হতে পারে?
১) উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে এই ব্যায়াম না করাই শ্রেয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২) অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই যোগ না করাই ভালো।
৩) এই যোগ করলে ঘুম ঘুম ভাব আসতে পারে। তাই কাজের মাঝে থাকলে এই ব্যায়াম করবেন না।