এখন পেয়ারার মৌসুম। বাজারে পেয়ারায় ভরপুর। যদিও এখন বারো মাসই বাজারে পেয়ারা দেখতে পাওয়া যায়। আর এই পেয়ারায় রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ। এতে রয়েছে নানান ভিটামিন ও খনিজ। এসবের গুণে শরীর থাকে তরতাজা। সন্তানকে নিয়মিত এই ফল খাওয়ানোর বেশ কিছু উপকারিতাও রয়েছে। সন্তানকে নিয়মিত এই ফল খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি মিলবে। পাশাপাশি বাড়বে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও। এ ছাড়া আরও একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে এই মৌসুমি ফলের।
বর্ষাকাল মানেই ঘরে ঘরে জ্বরসর্দি আর কাশির দাপট। সন্তানের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে এসব ছোটবড় সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেশি থাকে। তাই সন্তানের ইমিউনিটি বাড়াতে তাকে নিয়ম করে পেয়ারা খাওয়ান। এই ফলে থাকা ভিটামিন সি এবং ক্যারোটিনয়েডের মতো অন্যান্য বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। ফলে সন্তানকে আর ঘন ঘন সর্দিকাশিতে ভুগতে হবে না।
অন্যান্য ভিটামিনের পাশাপাশি পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন বি১, বি৩ ও বি৬। এসব পুষ্টিকর উপাদান মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। এদিকে গোলাপি রঙের পেয়ারাতে সন্ধান মেলে লাইকোপিনের। এই উপাদান নিউরোডিজেনারেশন আটকে দিতেও সক্ষম।
ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবার খেলে চোখের স্বাস্থ্য থাকে ভালো। দৃষ্টিশক্তি হয় তীক্ষ্ণ। আর এই ক্যারোটিনয়েডের হদিস মেলে পেয়ারায়। তাই আপনার সন্তানকে নিয়মিত এই ফল খাওয়ালে তার আর চশমা লাগবে না।
কারণ পেয়ারায় রয়েছে একাধিক ঔষধি গুণ। শুধু ফলের নয়। পেয়ারাগাছের বিভিন্ন অংশেও রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ধর্ম। যে কারণে নিয়মিত এই ফল খেলে আপনার সন্তান থাকবে সুস্থ। তাই দেরি না করে ঝটপট জেনে নিন আর সন্তানের ডায়েটে যোগ করুন এই ফল।
পেয়ারায় আছে ভিটামিন এ, বি, ই ও সি। এ ছাড়া এতে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড, ফাইটোকেমিক্যালস, অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ফাইবার। সঙ্গে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম এবং কপারের মতো খনিজের সন্ধান মেলে এই মৌসুমি ফলে। এর পাশাপাশি পেয়ারায় রয়েছে বেশ কিছু বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ, যা আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। তাই নিয়মিত সন্তানকে পেয়ারা খাওয়ান।
পেয়ারা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। পেয়ারায় রয়েছে ফাইবার ও ফেনোলিক যৌগ। গবেষণায় দেখা গেছে, পেয়ারায় উপস্থিত এসব উপাদান অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। আর পেয়ারায় থাকা ফাইবারের কারণে অন্ত্রের গতিবিধি হয় নিয়মিত। ফলে রোজ সকালে পেট পরিষ্কার করতে গিয়ে বাথরুমে কসরত করতে হয় না সন্তানকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে মুক্তি পাবে আপনার সন্তান। এদিকে পেয়ারায় থাকা জলীয় উপাদান শরীর হাইড্রেটেড রাখতে এবং হজমেও সাহায্য করে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।