ফাইল ছবি
সাম্প্রতিক সময়ে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। ডলার সংকটের কারণে আমদানি করা যাচ্ছে না গ্যাস, কয়লা ও তেল। যার ফলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন কমে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রও। এ অবস্থায় ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে পারে দেশ।
তবে চলমান এই সংকট মোকাবিলায় সরকার এরইমধ্যে বেশকিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো- রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ রাখা, মসজিদে এসি না চালানো, সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখা ইত্যাদি।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, অবশ্য এ সময়ের মধ্যে সব ধরনের সাশ্রয়ী নীতিকৌশল অবলম্বন করে বিদ্যুতের চাহিদা ১২ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা গেলে বিদ্যুতের সংকট অতটা হবে না।
এখন সবারই উচিত বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করা। আমরা নিজেদের অজান্তে প্রতিদিনই অনেক বেশি বিদ্যুৎ অপচয় করে ফেলি। একই সঙ্গে দিনকে দিন বাড়তে থাকা প্রযুক্তির পরিমাণ তো আছেই।
তাই বলে কি বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন না? অবশ্যই করবেন। তবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সময় তা অপচয় হচ্ছে কি না সে বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিদ্যুৎ অপচয় রোধে কী করণীয়-
১. টিউব লাইটে ভালো মানের ইলেকট্রনিক্স ব্যালেষ্ট ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।
২. ফ্যানের ইলেকট্রনিক্স রেগুলেটর হলে বিদ্যুৎ বিলের খরচ বেঁচে যাবে।
৩. বিভিন্ন পয়েন্টে অযথা চার্জার লাগিয়ে রাখলেও কিছু বিদ্যুৎ খরচ হয়।
৪. প্রয়োজন ব্যতীত ওভেন, ফ্যান, পিসি ইত্যাদি বন্ধ করে রাখুন।
৫. বিদ্যুৎ সংযোগ খারাপ থাকলে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়।
৬. অ্যানার্জি সেভার বাল্ব ব্যবহার শুরু করুন।
৭. ওয়াশিং মেশিনে অনেক বিদ্যুৎ পোড়ে।
৮. ড্রায়ারে বা ফ্যান ছেড়ে কাপড় শুকানোর বদলে বারান্দা বা ছাদে মেলে দিন।
৯. রেফ্রিজারেটরের কয়েল পরিষ্কার রাখুন।
১০. কাপড় ইস্ত্রি কম করুন।
১২. এসি ছেড়ে ঘুমাবেন না। কারণ ফ্যানের চেয়ে এসিতে বিদ্যুৎ অপচয় হয় বেশি।
১৩. পানি গরম করতে গিজার বা হিটার ব্যবহার কমিয়ে দিন।
১৪. ঘর থেকে বের হওয়ার সময় লাইট ফ্যানের সুইচ বন্ধ করে দেওয়া অভ্যাস করুন।
১৫. মাইক্রোওয়েভ, রাইস কুকার, কারি কুকার ইত্যাদি একেবারেই বাধ্য না হলে ব্যবহার করবেন না।
১৬. ডিম লাইট ও ইলেক্ট্রনিং বেলাষ্ট ডিম লাইট ব্যবহার করুন।
১৭. লাইট না জ্বালিয়ে ঘরের জানালা-দরজা খুলে রাখুন খুলে রাখুন দিনের বেলায়।
১৮. বিভিন্ন উৎসব কিংবা অনুষ্ঠানে আলোকসজ্জা কমানোর ব্যবস্থা করুন।
১৯. বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অযথা বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে রাখা বন্ধ করতে হবে।