শিশুরা অনেক সময় কৃমির সমস্যায় ভোগে। যে কারণে তাদের পেটে ভীষণ যন্ত্রণা হয়। প্রচণ্ড পরিমাণে মিষ্টি ও চকোলেট খেয়ে এ সমস্যায় পড়তে পারে তারা। এ ছাড়া কৃমি এক ধরনের পরজীবী, যা শিশুদের অন্ত্রে থাকে। তাদের পুষ্টি শুষে নেয়। শিশুদের মধ্যে ফিতাকৃমি বা সুতাকৃমির সংক্রমণ সব থেকে বেশি। অনেক সময় দূষিত খাবারের মাধ্যমে ডিম বা লার্ভা শিশুদের পাকস্থলীতে প্রবেশ করে।
সুতাকৃমিকে কুচোকৃমিও বলা হয়, যা ক্ষুদ্র পাতলা ও সাদা রঙের হয়, যা প্রথমত শিশুদের মলদ্বারে থাকে। তারপর মলদ্বারের আশপাশে ডিম পাড়ে। সুতাকৃমি সংক্রমণ শিশুদের সব থেকে বেশি দেখা যায়। যে কারণে তাদের শরীর কিন্তু প্রচণ্ড খারাপ হতে থাকে।
শিশুর কৃমি কমাতে খাওয়ান—
নারিকেল
শিশুর কৃমি কমাতে আপনি নারিকেল খাওয়াতে পারেন। শিশুর পেটের কৃমি দূর করতে নারিকেলের জুরি মেলা ভার। নারিকেল শরীরের যে কোনো বিষাক্ত পদার্থ বার করে দিতে সক্ষম। এ ছাড়া সকালে তাদের যে কোনো খাবারের সঙ্গে তিন-চার চামচ নারিকেল তেল দিতে পারেন। এতে কিন্তু দ্রুত কৃমি কমবে।
আনারস
যদি আপনার সন্তানের প্রচুর কৃমি হয়, তা হলে তাকে আনারস খাওয়ান। আনারস দ্রুত পেটের কৃমি কমাতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস আনারসের রস খেতে দিতে পারেন। কৃমির সমস্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে হজমশক্তি ক্রমশ বাড়তে থাকবে।
কাঁচা পেঁপে
কাঁচা পেঁপে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। চার-পাঁচ চামচ পেঁপের রস তাকে রোজ মধুর সঙ্গে ফুটিয়ে খাওয়ান। এটি খেলে আপনার শিশুর দ্রুত কৃমি কমবে। সেই সঙ্গে শরীর একদম ফিট থাকবে।
রসুন
রসুন দিয়ে আপনার শিশুর কৃমি কমাতে পারেন। অনেকেই রসুনকে প্রাকৃতিক কৃমিনাশক এজেন্ট বলে। যে কোনো রান্নায় রসুন যদি খাওয়ান, তাহলে আপনার সন্তানের আর কৃমির সমস্যা থাকবে না। পেটব্যথাও হবে না।
করলা
করলা যদি আপনার শিশুকে প্রতিদিন খাওয়াতে পারেন, তা হলে শিশুর পেটে একদমই কৃমি হবে না। কারণ এই সবজিতে তেতোর পরিমাণ বেশি থাকে, যা খেলে আপনার শিশুর বমি ভাব থাকলে তাও কমবে।
হলুদ
হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিসেপটিক গুণ থাকে। তাই কৃমি শিশুর পেট থেকে বার করতে আপনি প্রতিদিন তাকে হলুদ খাওয়াবেন। এ ছাড়া থাকে কারকিউমিন। যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। লক্ষণ যে শিশু কৃমির সমস্যায় ভোগে, তাদের পেটব্যথা হয়, ডায়রিয়ার সম্ভাবনা থাকে, ওজন কমতে থাকে, ঘুমের অভাব হয়, জন্ডিস হতে পারে, খিটখিটে ভাব হতে পারে, পেটে অস্বস্তি হবে, পেট খারাপ হতে পারে। অ্যালার্জি হতে পারে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।