বর্ষার মৌসুম হলেও রাজধানীতে চাহিদা অনুযায়ী দেখানেই বৃষ্টির। মাঝে মাঝেই বাড়ছে তাপমাত্রা। রাতে বা বৃষ্টির পর তাপ কিছুটা কম থাকলেও কিছুক্ষণ পড়েই তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্চে। এ গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই বাসায় বা অফিসে এসি ব্যবহার করছেন। অতিরিক্ত এসি ব্যবহার করে নানান সমস্যা দেখে দিচ্ছে।
অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ এসি চালিয়ে রেখেও ঘর ঠিকমতো ঠান্ডা হচ্ছে না। এসি নিয়মিত পরিষ্কার না করলেই এমন সমস্যা হতে পারে। এসি যাতে ঘর ঠান্ডা করতে পারে, তার জন্য এসির ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার রাখা আবশ্যক।
বিশেষ করে ১-২ মাস অন্তর এই ফিল্টার পরিষ্কার করা উচিত। আসলে এসি ফিল্টার পরিষ্কার রাখলে এসির কর্মদক্ষতা বাড়ে। সেই সঙ্গে এসি ইউনিটে কম এনার্জি লাগে, ফলে বিদ্যুৎ বিলও অনেকাংশে সাশ্রয় হয়। এছাড়া নিয়মিত এসি ফিল্টার পরিষ্কার রাখা হলে এসির আয়ুও বেড়ে যায়।
দেখে নিন কীভাবে নিজেই এসি ফিল্টার পরিষ্কার করতে পারেন-
প্রথমে এসি ইউনিট বন্ধ করতে হবে অথবা আনপ্লাগ করে নিন। এতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকবে না।
এসির ফিল্টার খুঁজে তা বার করে আনতে হবে। আসলে এসি মডেলের উপর ভিত্তি করে এসি ইউনিটের এক এক জায়গায় থাকে ফিল্টার। উইন্ডো এবং স্প্লিট সিস্টেমের ক্ষেত্রে ফিল্টার থাকে ফ্রন্ট গ্রিল অথবা প্যানেলের পেছনে।
ফিল্টার পরীক্ষা করে দেখতে হবে তাতে ধুলো-ময়লা জমা হয়েছে কি না। যদি দেখা যায়, ফিল্টারটি ধুলোয় ভরে গিয়েছে, তাহলে তা পরিষ্কার করতে হবে। তবে তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরিবর্তন করতে হবে।
ফিল্টারের মধ্যে থাকা ধুলো ময়লা ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের মাধ্যমে পরিষ্কার করে নিন। তার জন্য ব্রাশ অ্যাটাচমেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।
এবার উষ্ণ গরম পানির মধ্যে মাইল্ড ডিটারজেন্ট অথবা ডিশ সোপ মিশিয়ে সেই মিশ্রণের মধ্যে ফিল্টার ভিজিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর নরম ব্রাশ অথবা কাপড় দিয়ে ঘষে ঘষে ফিল্টারটি পরিষ্কার করতে হবে। এভাবে ধুলোময়লা পরিষ্কার করে নিতে হবে।
সাবানের অবশিষ্টাংশ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিয়ে শুকিয়ে নিন।
এবার পরিষ্কার করা ফিল্টার যথাস্থানে ইনস্টল করতে হবে। এরপর প্যানেল অথবা গ্রিল ঠিকভাবে আটকে দিতে হবে। এবার এসি ইউনিট চালিয়ে দেখে নিতে হবে যে, সেটা সঠিক ভাবে কাজ করছে কি না।