আম এ দেশের একটি জনপ্রিয় মৌসুমি ফল। এটি আমাদের দেশীয় ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। আম কাঁচা অবস্থায় আচার, চাটনি, জুস ইত্যাদি তৈরি করে খাওয়া যায়। পাকা আম এমনি খেতেই সুস্বাদু। তবে এটি দিয়েও তৈরি করা যায় আমসত্ত, জুস, পুডিং, কেক, কাস্টার্ড, সালাদ ইত্যাদি মজার খাবার।
ভিটামিন এ, সি, ই, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি, কপার, ফলেট, ফাইবার ও প্রোটিন রয়েছে এই ফলে।
পুষ্টিবিদরা বলেছেন, কাঁচা বা পাকা দুই ধরনের আমই শরীরের জন্য ভালো। আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় প্রচণ্ড গরমে তা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।
জেনে নিই আমের উপকারিতা—
১. আম ভিটামিন এ, সি ও ই-এর ভালো উৎস, যা ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।
২. আমে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। চোখের চারপাশের শুষ্কভাবও দূর করে।
৩. আয়রন ও সোডিয়ামের ঘাটতি পূরণে বেশ কার্যকরী আম।
৪. দেহে নতুন রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে আম।
৫. রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেলের মাত্রা কমায় আম। ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে। ক্যানসার কোষকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
৬. আমে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ প্রোটিন, যা জীবাণু থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়।
৭. আম পুরুষের শুক্রাণুর গুণগত মানকে ভালো রাখে। এ ছাড়া পুরুষের গোপন শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীর ফিট রাখে।
৮. ওজন কমাতে চাইলে কাঁচা আম খেতে পারেন। কেননা পাকা আমে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে।
৯. কাঁচা আম দেহের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুপুরে খাওয়ার পর কাঁচা আম খেলে বিকালের তন্দ্রাভাব কাটে।
১০. লিভারের সমস্যায় কাঁচা আম খাওয়া বেশ উপকারী। এটি বাইল অ্যাসিড নিঃসরণ বাড়ায় এবং অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে পরিষ্কার করে।
সূত্র : বোল্ডস্কাই