দেশে দিনে দিনে ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এই সমস্যা থেকে বের হতে হলে আমাদের সতর্ক না হলে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভাব। নিজেকে একটু প্রশ্ন করুন তো, দিনের কতটা সময় আপনি পার্টনারের সঙ্গে কাটান। এখনই উত্তর দিতে না পারলেও সমস্যা নেই, সময় নিয়ে চিন্তা করুন। শুধু একটু ভাবুন, আপনার প্রচেষ্টার অভাবেই দু’জনের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে কিনা। এটা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। আর এই দূরত্ব কমাতে আপনাকে কিছু প্রশ্ন করতে হবে।
যেকোনো সম্পর্কই শুরুর দিক থাকে বেশ মিষ্টি-মধুর। ঘাটতি হয় না রোম্যান্সেরও। ভালোবাসা আর এই খুনসুটির মধ্যে দিয়েই বয়স বাড়ে সম্পর্কের। একটা সম্পর্ক গড়ে তোলা যতটা সহজ, সেটি টিকিয়ে রাখা ততটাই কঠিন। কারণে অকারণে চলে কথা কাটাকাটি, ভুল বোঝাবুঝি ও মনোমালিন্য। নানা টানাপোড়নে ছিটকে যায় দুটি মন। তাই সময় থাকতে মজবুত করে নিন দাম্পত্য বা ভালোবাসার সম্পর্ক। তার জন্য করতে হবে মাত্র কয়েকটি প্রশ্ন। উত্তর মিলে গেলেই অটুট থাকবে ভালোবাসা সারাজীবন।
সঙ্কোচ কাটিয়ে নিজের বিষয় জানান
প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যমেই অনেক ভুল বোঝাবুঝি মিটে যায়। তাই মন খুলে প্রশ্ন করুন। পরের প্রশ্নটি করতে পারেন, তোমার এমন কোনও দিক রয়েছে যা আমি বুঝতে চাই না বা বুঝতে পারি না? এই প্রশ্ন করলে পার্টনার সঙ্কোচ কাটিয়ে নিজেই হয়তো কিছু শেয়ার করার জায়গা পাবে। প্রতিটি সম্পর্কে এই জায়গা পাওয়া খুব জরুরি।
সম্পর্কের অসন্তষ্টির কথা জানুন
যদি মনে হয় ভুল দিকে মোড় নিয়েছে আপনার সম্পর্ক? তাহলে এই প্রশ্নটি করতেই পারেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন, ‘আমাদের সম্পর্কের কোন বিষয় নিয়ে তুমি অসন্তুষ্ট?’ এই উত্তরটি কিন্তু বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। তা না হলে, অনেক কিছু অস্বাভাবিক লাগব। ভবিষ্যতে সেই সমস্যা কাটানোর জন্য একসঙ্গে পদক্ষেপ নিন। তাতে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
সম্পর্ক বাঁচাবে এই প্রশ্ন
এই প্রশ্নটি করতে একদমই ভুল করা যাবে না। আপনার ঠিক কোন বিষয়টির জন্য আপনি তাঁর কাছে সবার থেকে আলাদা। এই প্রশ্নের উত্তরের মধ্য দিয়েই একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ব্যক্ত হবে। একই কারণটি আপনিও তাঁকে জানান। দেখবেন আপনার মুখ থেকে প্রশংসা শুনে, সেও আহ্লাদে আটখানা হয়ে যাবেন।
মনের কথা জানুন
যেকোনো সম্পর্কে একে অপরকে জানা এবং বোঝার বিকল্প নেই। পার্টনারের মনের কথা জানতে পারলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চাবিও আপনি পেয়ে যাবেন। মনের কথা কি এমনিতেই জানা যায়! মোটেও না। তার জন্য আপনাকে সময় দিতে হবে। কথা বলতে হবে। গল্প করতে হবে। তারপর প্রশ্ন করতে হবে। তবে শুরু করতে হবে সাধারণ কথাবার্তা দিয়ে। গল্পের ফাঁকেই মনের কথা জিজ্ঞাসা করে নিন। আপনার কোন বিষয়টি তাঁর ভালো লাগে, আর কোনটি পছন্দ নয়। আর ঠিক কোন ঘটনায় সে অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছে। আপনি এই প্রশ্ন করলে নিজের মনের কথা শেয়ার করার সুযোগ পাবেন পার্টনার। তাতে দূর হবে দুজনের মধ্যের বোঝাবুঝি।
শেষ প্রশ্নেই হবে বাজিমাত
এই প্রশ্নটি প্রতি বছর অবশ্যই একবার করবেন আপনার পার্টনারকে। আমাদের সম্পর্কের কোন বিষয়টির পরিবর্তন করা দরকার? প্রশ্নের উত্তরে যে কথাগুলো বলবে সেটি আপনাদের সম্পর্ক আরও মজবুত করবে। পার্টনার অবশ্যই তাঁর মনের কথা আপনাকে বলবেন। এতে যেমন কেটে যাবে ভুল বোঝাবুঝি, তেমনি কমে আসবে দূরত্বও।