ফাইল ছবি
পাকা আমের জন্য বছরজুড়ে অপেক্ষার অবসান ঘটে এই মৌসুমে। সকাল-বিকালের নাশতা কিংবা দুপুরের ভাত, সঙ্গে একটি পাকা আম না হলে যেন খাওয়ার পূর্ণতাই আসে না।
পাকা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ লবণ, আঁশ ইত্যাদি, যা আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী। পাকা আমে ক্যারোটিনের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। পাকা আমে আয়রন, ফসফরাস, ভিটামিন সি, রিভোফ্লেভিন এবং থায়ামিন থাকে।
আম খাওয়ার পর ভুলেও যেসব খাবার খাবেন না
এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন বি-১ ও বি-২। পাকা আমে আরও থাকে খনিজ লবণ, প্রোটিন ও ফ্যাট। শ্বেতসারের ভালো উৎস হলো পাকা আম।
এছাড়াও পাকা আমে রয়েছে দারুণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা- চলুন জেনে নেই সেগুলো।
ক্যানসার থেকে রক্ষা
পাকা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস উপাদান; যা কোলন, স্তন, প্রস্টেট, লিউকেমিয়া প্রভৃতি ধরনের ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ
পাকা আমে থাকে উচ্চমাত্রার ভিটামিন-সি, প্যাকটিন ও আঁশ; যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
ত্বকের যত্নে
ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে আম। বিশেষ করে ত্বকের ফুসকুড়ি দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এটি। আমে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন-সি ত্বকের কোলাজেন তৈরিকে ত্বরান্বিত করে, যা ত্বকের বয়সের ছাপ পড়ার সমস্যাকে ধীরগতি করে। এছাড়া অ্যান্টি অক্সিডেন্ট চুলের ফলিকলকে অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে, যা চুল পড়ার হার কমিয়ে আনে।
কমায় চোখের সমস্যা
পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-এ’র উপস্থিতি রয়েছে সুমিষ্ট এই ফলটিতে; যা ড্রাই আই প্রবলেম কমাতেও বেশ কার্যকরী।
বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
আমে থাকা ভিটামিন-সি, এ ও অন্যান্য ২৫ ধরনের ক্যারোটেনয়েডস খুব সহজেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে কাজ করে।
শরীর সুস্থ রাখে
একটি পাকা আমে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, যা শরীরের রক্ত স্বল্পতা দূর করতে এবং হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া আমে থাকা ক্যালসিয়ার শরীরের হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে। আমে থাকা এনজাইমগুলো প্রোটিন উপাদানগুলোকে সহজে ভেঙে ফেলতে পারে। এতে খাবার হজম হয় দ্রুত, বাঁচা যায় পাকস্থলী সংক্রান্ত অনেক রোগ থেকেও। এছাড়া আমে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।