Logo
Logo
×

লাইফ স্টাইল

ঈদে খাবারে যেসব সতর্কতা মানবেন

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২১ পিএম

ঈদে খাবারে যেসব সতর্কতা মানবেন

ফাইল ছবি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। ঈদের দিন রকমারি খাবারের আয়োজন থেকে থাকে। পছন্দের খাবার কোনটি থেকে কোনটি খাওয়া হয়, তা নিয়ে কোনো ভাবার সময় থাকে না। কেউ কেউ আবার পছন্দের খাবার অতিরিক্তও খেয়ে ফেলেন। ফলে অনেকের আবার হজমজনিত সমস্যা হয়।

ঈদে কেউ ঝালজাতীয় খাবার বেশি খেয়ে থাকেন, আবার কেউ মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খান। কেউ একসঙ্গে দুটি খাবারই খেয়ে থাকেন। এ কারণে গ্যাস-অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা হয়ে থাকে। এ জন্য রমজান পরবর্তী খাদ্যাভ্যাস কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনিম।

এ পুষ্টিবিদ বলেন, ঈদের দিন স্বাভাবিকভাবেই সবাই অনেক রিচ ফুড খেয়ে থাকেন। এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর সেমাই-পায়েস ও জর্দাসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার গরু বা খাশির গোশত, লুচি-পরোটাও খেয়ে থাকেন। এসব খাবার আসলে একসঙ্গে খাওয়া ঠিক নয়। ঝাল ও মিষ্টিজাতীয় খাবার একসঙ্গে খাওয়ার ফলে হজমজনিত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারও কারও আবার গলায় ঢোকর উঠে থাকে। এ সময় গলা ও বুক জ্বালা-পোড়া অনুভব হয়।

তিনি বলেন, রোজা শেষ হলে ঈদের দিন থেকেই অনেকেই কিছুক্ষণ পরপর খাবার খান। এ সময় খাদ্যতালিকায় কী থাকছে, সেটি খেয়াল রাখা জরুরি। তা না হলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হবে। একসঙ্গে দুই-তিন ধরনের গোশত খাওয়া যাবে না। এতে হঠাৎ প্রচুর ঘাম হতে পারে। ব্যক্তিক্ষেত্রে কখনো রক্তচাপজনিত সমস্যাও হয়ে থাকে। এমনটাও হয়ে থাকে যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়। 

আসলে রমজানে একমাস খাদ্যতালিকা মেনে চলা হলেও এরপর অনেকেই অনিয়মিত যা ইচ্ছে তাই খেয়ে থাকেন। এ সময় যেকোনো খাবারই পরিমিত খাওয়া উচিত।

এ অবস্থায় করণীয় সম্পর্কেও কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনিম। 

এ ব্যাপারে তিনি বলেন, যেকোনো খাবারই পরিমিত খেতে হবে। আর প্রধান খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সময়মত খেতে হবে। দুপুরের খাবার দুপুরেই খেতে হবে। দুপুরের খাবার বিকালে নয়। এমন অনেকেই আছেন দুপুরে ভাত না খেয়ে ফাস্টফুড, চাইনিজ বা রিচ ফুড খেয়ে থাকেন। ফলে তার ক্ষুধাভাব কমে যায়। একই সঙ্গে শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোর শূন্যতা থেকেই যায়।

এ পুষ্টিবিদ বলেন, গোশত, রুটি বা লুচি খাওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। প্রয়োজনে এক থেকে দুই ঘণ্টা পর খাওয়া যেতে পারে। গ্রীষ্মের এই সময় মাছ-মাংস প্রয়োজনের থেকে কখনোই বেশি খাওয়া ঠিক হবে না।

তিনি বলেন, এখন প্রচুর গরম পড়ছে। এ সময় খাদ্যতালিকায় মাছ-মাংসের পাশাপাশি সবজি রাখা উচিত। লাউ, চাল কুমড়া, ঝিঙা, পটল ইত্যাদি জাতীয় সবজি রাখতে পারেন। আর তরল খাবারের গুরুত্ব তো রয়েছেই। কারণ, রোজায় একমাস দিনে পানি খাওয়া হয় না। এ কারণে পানিশূন্যতার শঙ্কা থাকে। আবার ফ্রটুস সালাদ খেতে পারেন। কেউ কেউ অবশ্য বোরহানি ও টক দইও খেয়ে থাকেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম