Logo
Logo
×

লাইফ স্টাইল

তারুণ্যে যেসব সুষম খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা উচিত

Icon

রবিউল কমল 

প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:২৯ এএম

তারুণ্যে যেসব সুষম খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা উচিত

ফাইল ছবি

মেধাচর্চায় থাকা মানুষদের মূলত শক্তি খরচ হয় বেশি। যদিও অনেকেরই ধারণা শুয়ে-বসে পড়তে তেমন শক্তি খরচ হয় না। তবে সেটা যে ভুল ধারণা, তার সত্যতা মিলেছে বিভিন্ন গবেষণায়।

তাই যারা এখনো শিক্ষার্থী, তাদের যথেষ্ট শক্তির জোগান দিতে প্রয়োজন সুষম খাদ্য। অন্যথায় শারীরিক দুর্বলতা প্রভাব ফেলতে পারে পড়াশোনাতেও। তাই খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মেনে চলা উচিত কিছু কথা-

সকালে নাশতা না করার বাজে অভ্যাস তরুণ-তরুণীর মাঝে বেশ ভালোভাবেই লক্ষণীয়। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় নাশতা করার জন্য অতিরিক্ত সময় নেয়াটাকে অহেতুক মনে করেন তারা। তাই হয়তো ঘুম থেকে উঠে তৈরি হয়ে ব্যাগ, বইপত্র নিয়ে কোনো রকমে ভোঁ-দৌড়। আর এটাই একজন শিক্ষার্থীর শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

কেননা রাতের দীর্ঘ ঘুমের পর সকালে খালি পেটে থাকাটা একেবারেই অনুচিত। সারা দিনের ক্লাস কিংবা পরীক্ষায় যতটা মেধা খরচ হয়, এর জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত খাবারের। তাই সকালের নাশতাটা হওয়া চাই ভরপুর ও প্রোটিনসমৃদ্ধ।

শরীর গঠনে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবারের বিকল্প নেই। এছাড়া মেধা বিকাশেও সহায়ক। এক্ষেত্রে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় দুধ রাখা উচিত। তবে যদি নিতান্তই দুধ খেতে না চান, তবে অবশ্যই কম ফ্যাটের দই, পনির রাখুন খাদ্য তালিকায়। সবুজ শাকসবজিও রাখুন প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে।

সবকিছুর সঙ্গে পানিও পান করতে হবে পর্যাপ্ত। দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পান করা উচিত। কিন্তু কেউ যদি জিম কিংবা যেকোনো ব্যায়াম করে থাকেন নিয়মিত, সেক্ষেত্রে পানি পান করতে হবে আরও বেশি।

রাত জেগে পড়াশোনা করার সময় একটু পরপর পানি পান করাটা শ্রেয়। ক্লাস কিংবা পরীক্ষা যখনই হোক না কেন, বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে পানির বোতল নিতে ভুললে চলবে না।

ক্লাসের ফাঁকে খানিকটা সময় মিললে ক্ষুধা নিবারণের জন্য দোকানের পিৎজা, বার্গার, চিপসসহ নানা ধরনের ফাস্টফুড খাবারই পছন্দের তালিকায় থাকে। এসব খাবার তাৎক্ষণিক ক্ষুধা মেটালেও পরবর্তীতে তা ক্ষতির কারণ হয়। তাছাড়া খাবার রুচিও নষ্ট করে ফেলে।

অতিরিক্ত তেল, চর্বি, শর্করাসমৃদ্ধ এসব খাবার শরীরে মেদ জমায় তাড়াতাড়ি, যা পরবর্তীতে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই যতটা সম্ভব এসব খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো।

খেতে ভালো লাগে না, এটা আর নতুন কী। খাবারটাকে যদি নিজের পছন্দ আর রুচি অনুযায়ী পরিবেশন করা যায়, তবে তা খেতে ভালোই লাগে বৈকি! তাই যেভাবে খেতে ভালো লাগবে, সেভাবেই খাওয়ার চেষ্টা করুন।

রাতে কিংবা দিনে খাবারের সময়টুকু পরিবারের সঙ্গে খেতে চেষ্টা করুন। এ সময় টেলিভিশন দেখা, বই পড়া কিংবা সামাজিক মাধ্যমে সময় কাটানো থেকে বিরত থাকুন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম