মলদ্বার ফেটে যাওয়া রোগ কাদের হয়, কী করবেন
অধ্যাপক ডা. এ. কে. এম. দাউদ
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২০, ০৪:১৯ এএম
ছবি সংগৃহীত
মলদ্বারের আস্তরণে ছোট একটি কাটা বা ফেটে যাওয়াকে বলা হয় এনাল ফিশার। এতে তীব্র ব্যথা এবং রক্তপাত হয়ে থাকে। এনাল ফিশার মলদ্বারের একটি জটিল রোগ। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তাদের এই রোগ হতে পারে।
এই রোগ সাধারণত চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। আট সপ্তাহেরও বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মলদ্বারে এনাল ফিশারের লক্ষণ
১. মলদ্বারের চারদিকে ত্বকে দৃশ্যমান ক্ষত;
২. ক্ষতের পাশে একটি বাড়তি মাংস পিন্ড;
৩. তীব্র ব্যাথা;
৪. টয়লেট পেপারে রক্ত লেগে থাকা বা পায়খানার সঙ্গে রক্ত পড়া;
৫. জ্বালাপোড়া বা চুলকানি;
এনাল ফিশারের কারণ
দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য, ঘন ঘন ডায়রিয়া, প্রদাহজনিত পেটের রোগ ও মলদ্বার অঞ্চলে রক্ত প্রবাহ হ্রাস পেলে এই সমস্যা দেখা দেয়। শৈশবকালে মলদ্বারে ফিশার খুবই সাধারণ। প্রাপ্তবয়স্করাও অ্যানোরেক্টাল অঞ্চলে রক্ত প্রবাহ হ্রাসের কারণে ঝুঁকিতে পড়েন।
প্রসবের সময় এবং পরে স্ট্রেইনের কারণে নারীরা পায়ুপথে বিচ্ছুরণের ঝুঁকিতে থাকেন। আইবিডি আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও মলদ্বারে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। অন্ত্রের আস্তরণে যে প্রদাহ দেখা দেয় তা মলদ্বারের চারপাশের টিস্যুকে আরও ছেঁড়াতে প্রবণ করে তোলে।
যারা ঘন ঘন কোষ্ঠকাঠিন্য অনুভব করেন তারাও পায়ুপথের ফিশারের ঝুঁকিতে রয়েছেন। স্ট্রেনিং এবং বড়, শক্ত মলগুলো পাস করার সময় মলদ্বারে ফেটে যাওয়ার সর্বাধিক সাধারণ কারণ।
কী করবেন
মলদ্বারে এসব সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এছাড়া মলদ্বার অঞ্চল শুকনো রাখা, মৃদু সাবান এবং উষ্ণ পানি দিয়ে আলতোভাবে মলদ্বার পরিষ্কার করা উচিত। আর প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা, আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে।
লেখক: অধ্যাপক ডা. এ. কে. এম. দাউদ
বিভাগীয় প্রধান ও উপাধ্যক্ষ, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ, সিলেট।