
ছবি সংগৃহীত
অনেকেই ঘাড়ের ব্যথায় ভোগেন। অত্যন্ত সাধারণ কারণ থেকে গুরুতর কারণেও ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে।
ঘাড়ে দুই ধরনের ব্যথা হয়
১. লোকাল বা স্থানীয় ব্যথা
২. রেফার্ড পেইন বা দূরে ছড়িয়ে যাওয়া ব্যথা।
ঘাড়ব্যথার প্রধান কারণ–
ঘাড়ব্যথার একটি কারণ হলো পশচার। এই শব্দটি বলতে বোঝায় ভঙ্গি। যে ভঙ্গিতে আমরা বসি, যে ভঙ্গিতে আমরা ঘাড়কে পরিচালনা করি। ঘাড়ে রয়েছে সাতটা হাড়। এর ভেতর দিয়ে স্পাইনাল কর্ড গেছে, একে মেরুরজ্জু বলে এবং তার থেকে অন্যান্য স্নায়ু গেছে।
আর এই হাড়গুলো একটি আরেকটির সঙ্গে কাপড়ের মতো, কিন্তু শক্ত ও লিগামেন্ট দিয়ে আটকানো রয়েছে।
বেশ কয়েকটি লিগামেন্ট গুচ্ছ রয়েছে। যে কোনো একটিতে অসুবিধা হলে, ঘাড়ব্যথা হতে পারে। পেশিতেও হতে পারে। ভাসকুলার পেইন হতে পারে।
এ ছাড়া থাইরয়েড, প্যারাথাইরয়েড ও টনসিল। এগুলোতেও ব্যথা হলে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে।
উপসর্গ
ঘাড়ব্যথা হলে এই ব্যথা কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ ছাড়া কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুলে অবশ ভাব ও দুর্বল হতে পারে।
যা করণীয়
সামনের দিকে ঝুঁকে দীর্ঘক্ষণ কাজ করা এবং মাথার ওপর অতিরিক্ত ওজন নেবেন না। শক্ত বিছানায় ঘুমান ও শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।
ব্যথা তীব্র হলে ঘাড় নিচু বা উঁচু করা, মোচড়ানো (টুইসটিং) পজিশন বন্ধ করা। এ ছাড়া কাত হয়ে শুয়ে দীর্ঘক্ষণ পড়বেন না বা টেলিভিশন দেখবেন না। আর কম্পিউটারে কাজ করার সময় মনিটর চোখের লেভেলে রাখবেন।
ঘাড়ব্যথার সমস্যা দীর্ঘদিন থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখক:
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।