Logo
Logo
×

লাইফ স্টাইল

রোজায় সুস্থ থাকতে পুষ্টিবিদদের ১০ পরামর্শ

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২০, ০৪:৫৯ পিএম

রোজায় সুস্থ থাকতে পুষ্টিবিদদের ১০ পরামর্শ

ছবি সংগৃহীত

রমজান মাসে ধর্মীয় বিধি-বিধানের পাশাপাশি দৈনন্দিন কাজ সুষ্ঠুভাবে করার জন্য সুস্থ থাকা  খুবই জরুরি।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পর সেহরি ও ইফতারে খাদ্য দ্রব্য বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। এ সময় জীবযাপনে কিছুটা পরিবর্তন আসেন,পরিবর্তন আসে নিয়মিত কাজের ধরনেও।

রোজায় একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ স্বাস্থ্য ঠিক রেখে কিভাবে রোজা করবেন বা রোজার সময় কোন ধরনের খাদ্য দ্রব্য বেশি নেয়া উচিত তা জানা প্রয়োজন।

এ বিষয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক গোলাম মাওলা বলেন, অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম থেকে যেমন বিরত থাকতে হবে, তেমনি সহজে হজম হয় এমন খাবার খেতে হবে।

তবে তার মতে, কোনোভাবেই বেশি খাওয়া যাবে না।

পুষ্টিবিদ অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলছেন, রোজার পানি জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। তবে এর মধ্য বিশুদ্ধ পানি ও ফলের রসই বেশি কাজে লাগে।

তিনি বলেন, ইফতারে ঘরে তৈরি খাবারই সবচেয়ে নিরাপদ। বেশি তেলে ভাজা বাজারের ইফতার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

গোলাম মাওলা ও নাজমা শাহীন দুজনই মনে করেন তৈলাক্ত খাবার, ভাজা পোড়া বর্জন করাই ভালো। বরং ফল ও খেজুর শরীরে পুষ্টি ও শক্তি যোগাবে।

রোজায় সুস্থ থাকতে পুষ্টিবিদদের ১০ পরামর্শ-

ভাজাপোড়া খাবার নয়

অধ্যাপক গোলাম মাওলার মতে, মাছ ডাল ভাত আদর্শ খাবার। ভোররাতে গরুর মাংস এড়িয়ে মুরগী খেলে ভালো হবে। তবে শাকসবজি ও ডাল শরীরের জন্য ভালো হবে। 

খাদ্য তালিকায় কী থাকবে?

পানি, ফল, চিড়া, রুটি, ভাত, সবজি, ডাল, ডিম, হালকা খিচুড়ি খাওয়া যেতে পারে। এসব খাবার শরীরে শক্তি বাড়ায়।

সতর্ক হয়ে খেতে হবে
 

অধ্যাপক গোলাম মাওলা বলছেন, মাঝেমধ্যে ইফতারির পর হালকা কম তেলযুক্ত তেহারি খাওয়া মন্দ না।

নিয়মিত খাবারকে গুরুত্ব দিতে হবে
 

পুষ্টিবিদ নাজমা শাহীন বলছেন, নিয়মিত যেসব খাবার খান রোজার সময়েই সেগুলোই তার জন্য যথেষ্ট। তবে সারাদিন রোজা পালন শেষে পানি খেতে হবে পর্যাপ্ত। 

শারীরিক পরিশ্রম কমানো ও শান্ত থাকা
 

রোজার সময় অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম গোলাম মাওলা বলছেন, একেবারে অলস থাকাও যেমন ক্ষতিকর তেমনি অতিরিক্ত পরিশ্রমও ক্ষতিকর হবে। 

সহজে যাতে হজম হয়
 

অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলছেন, রোজা পালনকারী ব্যক্তিকে বুঝতে হবে কোন খাবারগুলো সহজে হজম হয়। এসব খাবারকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। যেসব খাবার হজমে সমস্যা করে সেগুলো না খাওয়াই ভালো। 

একবারে বেশি খাবার থেকে বিরত থাকা

অধ্যাপক গোলাম মাওলা বলছেন, অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। ফল ও সবজি দিয়ে পরিমাণ মতো ইফতার করা যেতে পারে।

খাবার কিভাবে খাবেন?

গোলাম মাওলা ও নাজমা শাহীন দুজনই বলছেন, ধীরে ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে। ইফতারির শুরুতেই পানি শরীরের জন্য উপকারী। পাশাপাশি খেজুর খেতে হবে। যা শরীরে শক্তি যোগান দেবে।

স্যুপ হতে পারে দারুণ খাবার

রোজার সময় সারাদিন পর স্যুপ শরীরকে সতেজ রাখে ও হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। অধ্যাপক গোলাম মাওলা বলেন, শাক সবজি, বাঁধাকপি বাদ দিয়ে ফুলকপির স্যুপ বা লেটুস পাতার স্যুপ অনেক উপকারী। লেটুস পাতায় কোনো গ্যাস হয় না।

খাবার ও জীবনাচরণ ঠিক রাখা
 

অধ্যাপক গোলাম মাওলা বলছেন, শুধু খাবারই নয় বরং এর পাশাপাশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। ইফতারের পর বা সেহরির পর ধূমপান থেকেও বিরত থাকা উচিত।

ঔষধ সেবন 

যারা দুর্বলতা, ক্লান্তি, অ্যাসিটিডি, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা কিডনি জটিলতায় ভুগছেন তাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। অধ্যাপক গোলাম মাওলা ও অধ্যাপক নাজমা শাহীন দুজনই এসব বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। 

অধ্যাপক গোলাম মাওলা বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে রোজা রেখেও ঔষধ সেবন করা সম্ভব। কারণ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইফতার থেকে সেহরির সময়ে ঔষধ সেবন করা যায়।

তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা

Jamuna Electronics

img img
Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম