
প্রিন্ট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৮ এএম
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসে মাখন ঘি ও তেলের অনুপাত কী হওয়া উচিত?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২০, ১১:৫১ এএম

ছবি সংগৃহীত
আরও পড়ুন
তেল, ঘি ও মাখন আলাদা আলাদা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার। গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতে ঘি মাখিয়ে খাওয়ার স্বাদই অন্যরকম।
সকালের নাস্তায় রুটিতে সঙ্গে মাখনও খেয়ে থাকি আমরা। আর তেল ছাড়া তো রান্নার কথা ভাবাই যায় না।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়তে মাখন, ঘি ও তেল ব্যবহারের অনুপাত হওয়া উচিত ২:২:১। রোজ দুই টেবিল চামচ পরিমাণ মাখন ও ঘি ব্যবহার করেন, তবে তেল ব্যবহার করতে হবে এক টেবিল-চামচ।
এখন প্রশ্ন হলো– এগুলোর মধ্যে কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর?
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হলো-
মাখন
‘মিল্ক প্রোটিন’ ও ‘বাটার ফ্যাট’ হিসেবে মূলত ‘স্যাচুরেটেড ফ্যাট’ ব্যবহার করে তৈরি হয় মাখন। মাখনের ২০ শতাংশ পানি থাকে,যা রান্নার সময় বাষ্প হয়ে যায়। তেলে থাকা ‘পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট’য়ের সঙ্গে তুলনা করলে এই চর্বিগুলো হৃদযন্ত্র ও সার্বিক বিবেচনায় স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
দুই থেকে তিন কাপ দুধের সর বা মালাই দিয়ে মাখন তৈরি করা যায়। মালাই সংগ্রহ করতে আট থেকে নয় দিন সময় লাগতে পারে।
মালাই সংগ্রহ হয়ে গেলে তাতে আধাকাপ পানি ও আধাকাপ দুধ মিশিয়ে উচ্চ তাপমাত্রায় গরম করতে হবে পুরো মিশ্রণটিতে শক্তভাব আসা পর্যন্ত। এবার শক্ত অংশটুকু পানি থেকে আলাদা করে ঠাণ্ডা করে নিলে তৈরি হয়ে যাবে মাখন।
ঘি
মাখন উচ্চতাপে ফোটালে এবং দুধের অবশিষ্টাংশ সরিয়ে নিলে তৈরি হয় ঘি। দুধের অবশিষ্ট অংশ সরিয়ে নিলে চর্বি কমে যায়।
স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত ঘি কর্মশক্তি জোগাতে অত্যন্ত কার্যকর। ঘিয়ে থাকা ‘বিউটেরিক অ্যাসিড’ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করে।
তেল
‘পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট’য়ে ভরপুর থাকে তেল, যা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে। তাই সামান্য পরিমাণে গ্রহণ করাই শ্রেয়। তবে ‘অলিভ অয়েল’ বা জলপাইয়ের তেল তুলনামূলক স্বাস্থ্যকর। তবে রান্নায় ঘি কিংবা মাখন ব্যবহার করতে পারেন।