Logo
Logo
×

লাইফ স্টাইল

প্রিয় মানুষকে খুশি রাখার ১০ উপায়

Icon

মো. রামিজুর রহমান খান

প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২০, ০৫:২৩ এএম

প্রিয় মানুষকে খুশি রাখার ১০ উপায়

প্রিয় মানুষকে খুশি রাখার ১০ উপায়। ছবি: যুগান্তর গ্রাফিক্স টিম

বাংলাদেশে গত এক যুগে বিবাহ বিচ্ছেদের হার দ্বিগুণ বেড়েছে এবং স্বামী-স্ত্রী পৃথক থাকার হার তিন গুন বেড়েছে। ২০১২ থেক ২০১৮ পর্যন্ত প্রতি ১ ঘণ্টায় একটি করে ডিভোর্স আপ্লিকেশন জমা পরেছে ঢাকায়। 

একটা দেশে ১২-১৫ বছরের ব্যবধানে পরিবার ও সমাজে এত বড় একটা পরিবর্তন অবশ্যই অনেক বড় ধরনের সামাজিক চিত্র পরিবর্তনের ইঙ্গিত।  

দাম্পত্য জীবন ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দুটোই ভালভাবে ব্যালেন্স করে চলার জন্য যে আদর্শ ও নৈতিকতার চর্চা থাকা প্রয়োজন, তার অভাবেই মূলত ডিভোর্সের হার বেড়ে চলেছে। 

অনেক দম্পতি রয়েছেন যারা আদর্শ ও নৈতিকতা মেনে জীবন যাপন করছেন কিন্তু দুজনই অর্থনৈতিক কাজে নিয়জিত কিন্তু তাদের মধ্যে রয়েছে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা মিশ্রিত ভালোবাসা, পরিস্থিতি বুঝে কাজ করার যোগ্যতা ও কখনো কখনো ক্যারিয়ারের চেয়ে পরিবারকে প্রাধান্য দেয়ার বুদ্ধিদীপ্ত মানসিকতা।
 
নিম্নোক্ত ১০টি টিপস মেনে চললে দাম্পত্য সুখ ধরে রাখা ও ডিভোর্সের ঝুঁকি কমানো অনেক সহজ হবে- 

১। পরিস্থিতি বুঝে কথা বলার চেষ্টা করুন, মনে যা আসে তা-ই মুখ ফসকে বলে ফেলবেন না। ফলাফল কী হতে পারে তা বুঝে কথা বলুন।

২। নীরবতা যে একটি ভাষা সেটা জেনে রাখুন। অনেক সময় কথা বলার চেয়ে নীরব থাকায় বেশি প্রভাব তৈরি হয়

৩। পরস্পরের মধ্যে প্রতিযোগীতাপূর্ণ মানসিকতা পরিহার করুন, এটা ক্ষতিকর যা নিজের স্বার্থ ভেবে কাজ করতে প্ররোচিত করে। উদার হতে না পারলে সুখী হওয়া অসম্ভব।

৪। “আমি কী পেলাম বা কী পাচ্ছি তার কাছ থেকে”, এই ভাবনা থেকে বের হয়ে একটু ভাবুন “আমি তাকে কী দিলাম বা দিতে পারছি”। 

৫। কখনো মান-অভিমান বা মনমালিন্য হলে চুপ থাকার চেষ্টা করুন, নিজেদের সুখের সময়ের কথাগুলো ভাবুন, তার অবদানের কথাগুলো স্মরণ করুন। এমন সময় অকৃতজ্ঞের মত বেফাঁস কথা বলে ফেলার সম্ভাবনা বেশি থাকে, তাই খুব কম কথা বলুন বা চুপ থাকুন।

৬। যদি আপনার দ্বারা ভুল হয়ে যায়, ভুল স্বীকার করে নিন, সরি বলুন। ঘাবড়াবেন না, মানুষের ভুল হতেই পারে, মানুষ ফেরেশতা নয়। 

৭। জীবনসাথী যদি ভুল স্বীকার করে আপনার কাছে সরি বলে, তাকে ক্ষমা করে দিন মন থেকে। ভুলেও অপমান করবেন না। তাহলে সে আর কখনো ভুল স্বীকার করবে না। তাকে মুখ ফুটে বলুন “ইটস ওকে”।

৮। পুরনো কোন ভুলের জন্য কখনই স্বামী/ স্ত্রীকে কথা শোনাবেন না, খোঁচা দিবেন না। যেই ভুলের জন্য তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন, সেই ভুলের কথা বলে তাকে অপমান করাটা খুবই নিচু মনের পরিচয়। 

৯। বেশি বেশি ভালোবাসার কথা বলতে থাকুন। নারীরা সবসময় স্বামীর মুখ থেকে ভালোবাসা মিশ্রিত কথা শুনতে চায়, ভালোবাসা প্রকাশ করার বিষয়; লুকিয়ে রাখার বিষয় নয়। 

১০। সারপ্রাইজ গিফট দেওয়ার অভ্যাস করুন। গিফট ছোট কিছুও হতে পারে, কিন্তু আপনি তার কথা ভেবে খুঁজে খুঁজে তার জন্য গিফট কিনে এনেছেন, এই ভাবনাই তার কাজে অনেক ভাল লাগার বিষয়। 

আরও পড়ুন- 

সুখী পরিবার গঠনে স্বামী-স্ত্রীর বিচক্ষণতা ও দৈনন্দিন করণীয়

লেখক: মো. রামিজুর রহমান খান, প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ কনসালটেন্ট, ফ্যামিলি কিংডম কনসাল্টিং

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম