এক পিজ্জা খেয়েই হাঁটতে হবে ৪ ঘণ্টা!
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৫৭ এএম
এক পিজ্জা খেয়েই হাঁটতে হবে ৪ ঘণ্টা! ছবি সংগৃহীত
পিজ্জার কথা শুনলেই জিভে জল চলে আসে। আর পিজ্জাসহ বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুডের খাবার খেলে শরীরে প্রচুর ক্যালোরি জমে। তাহলে কী? পিজ্জা খাওয়া ছেড়ে দেবেন।
ক্যালোরি কী?
একটি খাদ্যদ্রব্য বা পানীয় থেকে যে পরিমাণ শক্তি পাওয়া যায়, তা পরিমাপ করা হয় ক্যালোরি দিয়ে। একজন পুরুষের দৈনিক ২৫০০ কিলো ক্যালোরি এবং একজন নারীর দৈনিক ২০০০ কিলো ক্যালোরি দরকার হয় তাদের শরীরকে কর্মক্ষম রাখার জন্য- শ্বাস নেয়া থেকে শুরু করে দৌড়ানো পর্যন্ত সবকিছু এর অন্তর্ভুক্ত।
পিজ্জা আপনি খেতেই পারেন, তবে তার জন্য মানতে হবে নিয়ম। যুক্তরাজ্যের গবেষকরা বলছেন– খাবারের মোড়কের গায়ে লেখা থাকা উচিত যে, এই খাবার খেলে তা থেকে পাওয়া ক্যালোরি পোড়াতে মানুষকে কতক্ষণ ব্যায়াম করতে হবে। খবর- বিবিসি বাংলা
তারা বলছেন, একটি পিজ্জা খেলে নাকি ৪ ঘণ্টা হাঁটতে হয়। অথ্যাৎ চার ঘণ্টা হাঁটতে একটি পিজ্জার ক্যালোরি কমে। একটি চকলেট বার খেলে তার ক্যালোরি পোড়াতে ২২ মিনিট দৌড়াতে হয়- এ ধরনের তথ্য খাবারের জ্বালানি ব্যয় সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করে।
প্রাথমিক গবেষণায় পাওয়া গেছে, খাবারের মোড়কে ক্যালোরি বিষয়ে লেখা থাকলে মানুষ সেই খাবার খেতে খুব বেশি উৎসাহিত হবে না। এ গবেষণার মূল লক্ষ্য হচ্ছে– স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করা ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।
লফবারো ইউনিভার্সিটির গবেষক, যারা এ ধরনের অন্তত ১৪টি গবেষণা খতিয়ে দেখেছেন। তারা বলছেন যে, মোড়কের গায়ে এ ধরনের লেবেলিং থাকলে একজন ব্যক্তি দৈনিক অন্তত ২০০ ক্যালোরি কম গ্রহণ করেন।
যুক্তরাজ্যের দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অতিরিক্ত ওজন কিংবা স্থূলতা রয়েছে।
প্রধান গবেষক অধ্যাপক আমান্ডা ডালি বলেন, আমরা মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছি, তারা যা খাচ্ছে তা তাদের খাবার সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নেন এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকেন।
খাবারে ক্যালোরি লেবেল থাকলে ভালো। কারণ মানুষ বুঝতে পারে যে, তারা কি খাচ্ছে এবং তা তাদের খাবারের ব্যাপারে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
জনস্বাস্থ্যবিষয়ক দ্য রয়্যাল সোসাইটি যত শিগগির সম্ভব এই লেবেল চালু করতে যাচ্ছে। তারা মনে করছেন, অনেক ভোক্তাও এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানাবেন।
তারা বলছেন, এ ধরনের লেবেলিং একজন ব্যক্তির শক্তি খরচের পরিপ্রেক্ষিতে তার ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রাকে চিত্রিত করে এবং এর মাধ্যমেই আমরা যে রেকর্ড পরিমাণ স্থূলতার মুখে পড়েছি তা আংশিকভাবে হলেও ব্যাখ্যা করা যায়।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা