আসল হীরা।
বিয়ে ও বাগদানে সোনার আংটি প্রচলন থাকলেও এখন হীরার গয়নার চাহিদা বেড়েছে। তবে এখন ভারী গয়না খুব বেশি পছন্দ করেন না নারীর। এখন ছোট হীরার গয়না অনেক বেশি পছন্দ তাদের।
হীরার গয়না কেনার কথা ভাবছেন। সোনা গয়না সম্পর্কে অনেক বিষয় জানা থাকার কারণে সহজে জানতে পারবেন আসল না নকল। তবে বেশিরভাগ মানুষ আসল হীরা চেনেন না।
আসুন জেনে নেই কীভাবে চিনবেন আসল হীরা-
১. ক্যারেট হীরা সমান ০.২ গ্রাম। এই হিসেব মাথায় রেখেই হীরার ক্যারেট বিবেচনা করা হয়। এই ১ ক্যারেট হীরাকে সেন্ট হারে বিক্রি করা হয়। আকারের ওপর নির্ভর করে হীরার দাম নির্ধারণ করা হয়।
২. হীরাতে আলো ফেললে এর ভেতরে ধূসর ও ছাই রঙের আলোকচ্ছটা দেখা যাবে।
৩. হীরার প্রাকৃতিকভাবে কতটুকু খুঁত থাকে তা বুঝতে আকার এবং আকৃতির ওপর ১০ পাওয়ারের অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে হীরা নির্ণয় করা যায়।
৪. হোয়াইট টোপাজ, হোয়াইট স্যাফায়ার, কিউবিক জিরকোনিয়াম, মইসানাইট বা ল্যাব গ্রোন পাথরগুলোও দেখতে হীরার মতোই।
৫. হীরা বিশ্বের সবচেয়ে শক্ত বস্তু। কোন কিছু দিয়েই একে ঘষে মসৃণ করা যাবে না। কিন্তু যদি কৃত্রিম হীরা হয় তাহলে এতে শিরিষ কাগজ দিয়ে ঘষলেই তাতে দাগ পড়বে।
৬. পাথরটিতে মুখের গরম বাতাস দিন। হীরাটি কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। বাথরুমের আয়নায় নাক-মুখের নিঃশ্বাস ফেললে এভাবে আয়নাটি ঝাপসা হয়ে যাবে।
৭. হীরাটি যদি ভুয়া হয়, তবে খুব দ্রুত ঝাপসা ভাবটি চলে যাবে। কিন্তু আসল হীরা খুব দ্রুত পরিষ্কার হবে না। কারণ আসল হীরা তাপ ধরে রাখে না যে বাষ্প খুব দ্রুত উরে যাবে।
৮. পেশাদার গেমোলজিস্ট রয়েছেন যারা হীরা পরীক্ষা করে দেন। বিশেষ উপলক্ষে বেশ দিয়ে হীরা কিনলে তা এক্সপার্ট দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন।
৯. হীরার গয়না সব সময় ব্র্যান্ডের দোকান থেকে কিনতে হবে। হীরার মান উল্লেখ করে ওয়ারেন্টি কার্ড বুঝে নিন ও সংরক্ষণ করুন।