খেজুর। ছবি সংগৃহীত
গর্ভাবস্থায় প্রত্যেক নারীর ধীর, স্থির ও সচেতন হয়ে চলা জরুরি। গর্ভাবস্থায় অন্যান্য সবদিকে খেয়াল রাখার পাশাপাশি নিজের খাদ্যের দিকে সব থেকে বেশি সচেতন হওয়া উচিত। এ সময় স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টি সুষম খাবার খাওয়া জরুরি।
গর্ভবতী মায়েদের খাদ্য তালিকায় ড্রাই ফ্রুটস ও বাদাম থাকা ভালো। বেশিরভাগ ড্রাই ফ্রুটস এবং বাদাম যেমন এপ্রিকট, ডুমুর, আপেল, আখরোট, বাদাম, কিসমিস ও পেস্তা গর্ভবতী মায়েদের পক্ষে ভালো। কারণ এতে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন এবং খনিজ যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রন সমৃদ্ধ।
গর্ভাবস্থায় ড্রাই ফ্রুটস, বাদাম ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
১. শুকনো ফল ও বাদাম প্রচুর পরিমাণে ফাইবারযুক্ত হওয়ায় এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে করে।
২. ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে যেমন- খেজুর, বাদাম ও কাজুতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। এ সময় মায়ের শরীর থেকে শিশুর শরীরে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ হয়।
৩. ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে উপস্থিত পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং পেশি নিয়ন্ত্রণ বাড়ায়। গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপিণ্ড ও কিডনিতে খুব বেশি চাপের সৃষ্টি করে, যা হার্ট বা কিডনি রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
৪. ড্রাই ফ্রুটস শিশুর দাঁত ও হাড়ের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়। এগুলো প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'এ' সরবরাহ করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, দৃষ্টি এবং ভ্রূণের বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে।
৫. আলুবোখারা ও খেজুর জরায়ুর পেশি শক্তিশালী করার জন্য পরিচিত, যা মসৃণভাবে প্রসব ঘটাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এগুলি প্রসব-পরবর্তীকালীন রক্তপাতের সম্ভাবনা হ্রাস করে।
৭. গর্ভাবস্থায় ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার ফলে হাঁপানি ও ঘ্রাণকাশি হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়।
সূত্র: বোল্ড স্কাই