এবার সমুদ্র দ্বীপে সত্যিকারের মৎস্যকন্যা!
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০১৯, ০১:৪৯ এএম
দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপ। ছবি সংগৃহীত
রূপকথার নানা কাহিনিতে মৎস্যকন্যার গল্প শুনেছেন অনেকেই। মৎস্যকন্যার মাথা থেকে কোমর পর্যন্ত মানুষ আর কোমরের নিচের অংশ একেবারে মাছের মতো দেখতে।
তবে বাস্তবেও মৎস্যকন্যারা রয়েছে। তাদের শরীরের অর্ধেক অংশ মাছের মতো নয়। তবে দিনের অধিকাংশ সময় তারা সমুদ্রের পানির তলায় কাটায়, ঝিনুক খোঁজে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে বসবাস করে বাস্তবের এই মৎস্যকন্যারা। এরা এখানে হেনিয়ো বা সাগরকন্যা নামেই পরিচিত।
হেনিয়োরা অগভীর সমুদ্রে ডুব দিয়ে ঝিনুক আর শঙ্খ সংগ্রহ করে। ঝিনুক আর শঙ্খ রপ্তানি করে যে অর্থ উপার্যিত হয়; তা দিয়ে চলে হেনিয়োদের সংসার।
জেজু দ্বীপে পুরুষরাও বসবাস করেন। নারীরা যে সব ঝিনুক আর শঙ্খ সংগ্রহ করেন, সেগুলিকে চাহিদা অনুযায়ী বাজারে পৌঁছে দেন পুরুষরা।
বর্তমানে এই দ্বীপে যারা ঝিনুক আর শঙ্খ সংগ্রহ করেন, তাদের বেশির ভাগেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি।
এক বয়স হওয়া সত্ত্বেও তারা সমুদ্রের অন্তত ২০ মিটার (প্রায় ৬৬ ফুট) গভীরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটান রুজির টানে। তবে সঙ্গে থাকে না কোনও অক্সিজেন সিলিন্ডার।
দীর্ঘদিনের অভ্যাসে এরা পানির গভীরে ২ মিনিটেরও বেশি সময় দম বন্ধ করে থাকতে পারেন।
এভাবেই দিনের পর দিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা সমুদ্রের প্রায় ৬৬ ফুট গভীরে ঝিনুক আর শঙ্খের খোঁজে কাটান হেনিয়োরা।
বর্তমানে হেনিয়োদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক হলেন আল সু রা। তিনি সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বয়সী ডুবুরি। তার বয়স ৯৫ বছর।
আল সু রা জানান, সমুদ্রের তলও পাথুরে, রুক্ষ। এছাড়া পরিবেশও হঠাৎ করেই বদলে যায়। তাই এই কাজে প্রাণের ঝুঁকিও রয়েছে।প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ২০১৭ সালেও একজন হেনিয়োর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সূত্র: জি নিউজ
https://www.youtube.com/watch?v=kF6-20x8Bpo