খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম ভ্রমণের মধ্যদিয়ে শেষ হচ্ছে এলিজার ৬৪ জেলা ভ্রমণ
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০১৯, ০৭:৫৪ পিএম
নারী বিশ্বপর্যটক এলিজা বিনতে এলাহী। ফাইল ছবি
খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের মধ্য দিয়ে দেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ শেষ করবেন নারী বিশ্বপর্যটক এলিজা বিনতে এলাহী। এ সময় তিনি দুই জেলার স্থানীয় বিশিষ্ট নাগরিক, সাংবাদিক ও তরুণ সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
চলিত মাসের ২৬-৩১ তারিখ পর্যন্ত তিনি জেলা দুটি ভ্রমণ করবেন বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান।
ব্যক্তিগত প্রজেক্ট QUEST-এর আওতায় ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার হেরিটেজ সাইটগুলো ভ্রমণ করে তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন তিনি।
লিখিত তথ্য, মিথ, লোককাহিনী, স্থিরচিত্র ও ভিডিওর মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে সারা দেশের উল্ল্যেখযোগ্য ও লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলো সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে তথ্য সংগ্রহের কাজটি সমাপ্ত হবে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলা ভ্রমণের মধ্যদিয়ে।
পরবর্তীকালে বিস্তারিতভাবে গবেষণার জন্য আবারও বাংলাদেশ ভ্রমণে বের হবেন বলে জানিয়েছেন এ পর্যটক।
তিনি আরও জানান বাংলাদেশে হেরিটেজ ট্যুরিজমকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় করার জন্য ভবিষ্যতে আরও পরিকল্পনা আছে। যেটি বাস্তবায়নে সরকারি ও বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
এলিজা বিনতে এলাহী বাংলাদেশ ছাড়াও এ পর্যন্ত বিশ্বের ৪৭টি দেশের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ঘুরে দেখেছেন। অচিরেই বাকি দেশগুলো ভ্রমণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এ হেরিটেজ ট্রাভেলার।
ইতিমধ্যে নেদারল্যন্ডসের দি হেগ ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লাইড সাইন্সেস এ কমিউনিকেসন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধীনে বাংলাদেশে হেরিটেজ ট্যুরিজমের ওপর গবেষণা সমাপ্ত করেছেন। ট্রাভেলের পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়ায় শিক্ষকতা ও নিয়মিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় হেরিটেজ ট্যুরিজম বিষয়ে লেখালিখি করছেন।
এশিয়া মহাদেশ ভ্রমণের ওপরে তার লেখা দুটো বই Eliza’s travel Diary ও Eliza’s Travel Diary-2 পাঠক সমাদৃত হয়েছে।
বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলো সংরক্ষণের পাশাপাশি হেরিটেজ ট্যুরিজমকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিগত সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন এলিজা বিনতে এলাহী।
বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে যা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে শিক্ষা-গবেষণার পাশাপাশি দেশে পর্যটন শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।
এলিজা বলেন, প্রায় ২০ বছরের বিশ্ব ভ্রমণের যাত্রায় আমার নিজেকে সত্যিকার ট্রাভেলার মনে হয়েছে যখন আমি বাংলাদেশের কোনায় কোনায় গেছি। আমার দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মানুষ আমাকে যা আনন্দ দিয়েছে পৃথিবীর বড় বড় দেশ তা দিতে পারেনি। আমি দেখেছি গর্ব করার মতো বিশ্বমানের স্থাপনা আমাদেরও রয়েছে। প্রয়োজন শুধু সংরক্ষণ, রক্ষণা-বেক্ষণ ও প্রচার-প্রচারণা।
নিজের কাজগুলো ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি তুলে ধরেছেন।