প্রচণ্ড গরমে পানি পান করছেন এক শ্রমিক। ছবি সংগৃহীত
বাইরে বের হলেই প্রচণ্ড গরম। এই গরমে সুস্থ থাকতে বাইরে বের হলেই সঙ্গে পানির বোতল ও ছাতা রাখতে হবে। এছাড়া গরমে সময়ে জ্বর-ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি ও পেটের সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়।
গরমে পেটের সমস্যা থেকে বাঁচতে এফ দিয়ে শুরু ৫টি বিষয় মনে রাখাই যথেষ্ট। এই ৫ শব্দ প্রচণ্ড গরমে আপনাকে সুস্থ রাখবে। আর এই ৫ বিষয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
তাহলে খুব সহজেই প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকতে পারবেন। ডায়রিয়া, কলেরা বা এ ধরনের অনেক পেটের পীড়া থেকে মুক্তি মিলবে।
হঠাৎ করে প্রচণ্ড গরম পড়ার পর নানা ধরনের পেটের পীড়া বেড়ে গিয়েছে।
পেটের পীড়ার সমস্যা নিয়ে মহাখালীতে আইসিডিডিআরবির হাসপাতালে গত কয়েক দিনে প্রচুর রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ডায়রিয়া থেকে শুরু করে কলেরায় আক্রান্তদের সংখ্যা বেশি।
আসুন জেনে নেই এই গরমে আপনি পেটের পীড়া থেকে বাঁচতে কী করবেন?
রাজধানীর একটি বেসরকারি হেল্থকেয়ার প্রতিষ্ঠান 'প্রাভা হেলথে'র ফ্যামিলি ফিজিসিয়ান ডা. সামিনা পারভিন।
তিনি জানিয়েছেন, ইংরেজিতে এফ আদ্যাক্ষর দিয়ে শুরু হওয়া পাঁচটি শব্দ মনে রাখতে পারলে আপনি পেটে সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
ফুড অর্থাৎ খাবার:
মাছির জন্য খাবার সব সময় ঢেকে রাখতে হবে ও বাসি খাবারকে না বলুন। গরমে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যায়। তাই এমনকি খাবার ফ্রিজে রাখলেও তাতে জীবাণু জন্ম নিতে পারে। সেই খাবারও ভালো করে গরম করতে হবে।এছাড়া রাস্তার খাবার খাওয়া যাবে না।
ফ্লুইড অর্থাৎ পানি বা তরল পদার্থ:
পানিই ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। ঘর থেকে বাইরে যাওয়ার সময় বোতলে ফুটনো পানি নিয়ে যাওয়া উচিত। ভবনের নিচে পানির মূল ট্যাংকি পরিষ্কার করা জরুরি।
ফ্লাই অর্থাৎ মাছি বা পোকামাকড়
মাছি ডায়রিয়ার সংক্রমণ ছড়ায় খুব দ্রুত। তাই সে জন্যে সবসময় সব খাবার ঢেকে রাখতে হবে।
ফিসিস অর্থাৎ মল
সুরক্ষিত জায়গায় মলত্যাগ করতে হবে যাতে এটি মাছি বা তেলাপোকার সংস্পর্শ না আসে।
ফিঙ্গার মানে আঙুল
খাবার খাওয়ার আগে এবং মল ত্যাগ করার পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। এছাড়া হাতের নখ ছোট করে কেটে রাখতে হবে।
যদি আপনার হাতের নখ বড় ও অপরিষ্কার রাখবেন না। নখের কোনায় একটি ছোট খাদ্যকণা আটকে যেতে পারে ও পচে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হতে পারে। এই পচা ব্যাকটেরিয়া খাবার খাওয়ার সময় পেটে চলে গেলে পেটের পীড়া হতে পারে।