
প্রিন্ট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম
রমজানে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে কী করবেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম

আরও পড়ুন
রমজানে জীবনযাত্রার পরিবর্তন, পর্যাপ্ত পানির অভাব এবং অত্যধিক ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার কারণে অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো—
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ ডিজিজেস অনুসারে- প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন প্রায় ২২ থেকে ৩৪ গ্রাম ফাইবার বা আঁশের প্রয়োজন হয়। ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত সময়ে এই ফাইবারটুকু প্রদান করতে হবে শরীরকে।
সেন্টার ফর ক্লিনিকাল এক্সিলেন্স অ্যান্ড রিসার্চের ফ্যামিলি মেডিসিন চিকিৎসক ডা. মো. রাশীদ মুজাহিদ জানান, খাবারে আঁশের পরিমাণ কম থাকা এবং পানি কম খাওয়ার কারণে অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয় রোজার সময়। এই সমস্যা প্রতিরোধে ইফতারে বেশি করে ফল রাখতে হবে। রাতে ও সাহরিতে শাকসবজি, সহজপাচ্য খাবার থাকতে হবে।
এছাড়া ইসবগুলের ভুষি, লাল আটা ও ঢেঁকি ছাটা চালের ভাত খেতে পারলে খুব ভালো হয়।
পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। শরীরকে রিহাইড্রেট করার জন্য ইফতারের পর থেকে সাহরি পর্যন্ত আড়াই লিটার পানি খেতে হবে। তবে খাওয়ার মাঝখানে পানি খাবেন না কিংবা একবারে অতিরিক্ত পরিমাণ পানি খেয়ে ফেলবেন না। হাইড্রেটেড থাকতে উচ্চ পানিযুক্ত খাবার যেমন ঘরে তৈরি স্যুপ, শাকসবজি, ফল, শসা, লেটুস, টমেটো এবং তরমুজ খান। সাহরিতে হাইড্রেটিং ফলের পাশাপাশি বাদাম, বীজ, দই, চিয়া বীজ এবং ফাইবার বাড়ানোর জন্য ফ্ল্যাক্সসিডের স্মুদি রাখতে পারেন। এতে শরীর পর্যাপ্ত ফাইবার পাবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি কমবে।
ইফতারে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, মসলাযুক্ত খাবার প্রতিদিন না রেখে সপ্তাহে ১/২ দিন পরিমাণ মতো রাখার পরামর্শ দেন ক্লিনিক্যাল ডায়াটিশিয়ান ও নিউট্রিশন কনসালটেন্ট ফাতেমা সিদ্দিকী ছন্দা। তবে সম্ভব হলে এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো বলে মনে করেন তিনি। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি কমবে।
ইফতারে শুরুতেই পেট ভরে খাবেন না। এ সময় অল্প চিনিযুক্ত শরবত বা জুস ও খেজুর খেয়ে কিছুক্ষণ বিরতি দেওয়া ভালো। একবারে অতিরিক্ত খেয়ে সাহরিতে কিছু না খাওয়া ভালো অভ্যাস না। রোজা ভেঙে দ্রুত ও অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পেটে ব্যথা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিভিন্ন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
রোজার সময় ব্যায়াম করা যাবে না এমন নয়। বরং ব্যায়াম কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং আমাদের সুস্থ রাখে। ইফতারের পর ৩০ মিনিট হাঁটতে পারেন।