Logo
Logo
×

লাইফ স্টাইল

চোখ ভালো রাখতে করণীয়

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৬ পিএম

চোখ ভালো রাখতে করণীয়

ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে চোখের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বয়স বাড়লে দৃষ্টিজনিত নানা সমস্যা শুরু হয়। বিশেষ করে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ বা কোলেস্টেরল রয়েছে, তাদের চোখের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিস থাকলে তার প্রভাব ভালো রকমই পড়ে রেটিনায়। 

‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন’-এর তথ্য অনুসারে, বিশ্বব্যাপী ৫০ পেরোনো প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় ভুগছেন। গ্লকোমার ঝুঁকিও বাড়ছে। চোখ ভাল রাখতে তাই কিছু নিয়ম মেনে চলা যেমন জরুরি, তেমনই সময়মতো চোখের পরীক্ষাও করিয়ে নিতে হবে। প্রবীণদের ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম মানা জরুরি, তা জেনে রাখা ভালো।

‘আমেরিকান অপটোমেট্রিক অ্যাসোসিয়েশন’-এর তথ্য অনুযায়ী, বয়স ৫০ পার হলেই ‘ম্যাকুলার ডিজেনারেশন’ (এমডি)-র ঝুঁকি বাড়ে অনেকের। এতে রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং ডায়াবেটিক ম্যাকুলার এডিমা— এই দুই রোগে দেশে প্রতি বছর বহু মানুষ আক্রান্ত হন। ঠিক সময়ে ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে অনেকটা সারিয়ে তোলা যায়। ডায়াবেটিক ম্যাকুলার এডিমা মূলত ডায়াবেটিস রোগীদের হয়। মানসিক চাপ থেকেও রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। তাই এই রোগ ঠেকাতেও মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে।

তবে শুধু ‘এমডি’ নয়, বয়স বাড়লে চোখে ছানি পড়া, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে শুরু করে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে, ছানি পড়ার ঝুঁকি বাড়ে।

চোখের আরও একটি অসুখ নিয়ে সাবধান থাকতেই হবে, তা হল গ্লকোমা। অপটিক স্নায়ুতে চাপ বাড়লে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হতে শুরু করে, পরবর্তী সময়ে যা অন্ধত্বের কারণ হতে পারে। প্রাথমিক ভাবে ক্ষতিটা শুরু হয় পরিধির চারপাশ থেকে, তাই গ্লকোমায় আক্রান্ত রোগীদের সাইড ভিশন নষ্ট হতে থাকে। 

যদি বাড়ির বয়স্কেরা বলেন, তারা দু’পাশের কিছু দেখতে পাচ্ছেন না, তা হলে সাবধান হতে হবে। পরিবারে বা নিজের ডায়াবেটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে গ্লকোমার আশঙ্কা বাড়তে পারে। যারা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ নিয়মিত নেন, তাদেরও গ্লকোমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে।

চোখ ভালো রাখতে কী কী করণীয়?

১) নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করানো দরকার। বাড়ির বয়স্কদের নিয়ম করে চক্ষু পরীক্ষা করাতে হবে। মাঝেমধ্যেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি। চোখ থেকে জল পড়া, চোখ জ্বালা করা, দৃষ্টিশক্তি হঠাৎ করে ঝাপসা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলিও এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।

২) উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস থাকলে অথবা হার্টের রোগ থাকলে চোখের প্রেশার পরীক্ষা করা খুব জরুরি। অপটিক নার্ভ পরীক্ষা করলেই ধরা পড়ে, ক্ষতির মাত্রা ঠিক কতটা। অনেক সময়ে টানা ওষুধের সাহায্যে চোখের প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখলেই নার্ভের উপরে চাপ কমানো যায় এবং গ্লকোমাও আয়ত্তে রাখা সম্ভব।

৩) সূর্যের অতিবেগনি রশ্মিও চোখের ক্ষতি করে। বয়সকালে বাইরে বেরোলে রোদচশমা পরা খুব জরুরি। তা ছাড়াও ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল দেখা অথবা টিভি বা কম্পিউটার-ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকা চলবে না।

৪) চলন্ত ট্রেন, বাস বা মেট্রোয় যাওয়ার সময়ে বই পড়লে চোখে চাপ পড়ে। ছোট ছোট কম্পমান অক্ষর পড়তে গিয়ে রেটিনার উপর চাপ বাড়ে। অনেক বয়স্ক মানুষই এমন করে থাকেন। তাই সতর্ক হতে হবে। অন্ধকারে টেবিল ল্যাম্প জ্বালিয়ে বা কম আলোতেও বই পড়লে চোখের ক্ষতি হবে।

৫) খাওয়াদাওয়ার উপরেও নজর রাখতে হবে। বেশি করে মরসুমি ফল, শাকসব্জি, লিন প্রোটিন, শস্যজাতীয় খাবার ডায়েটে রাখতে হবে। ধূমপানেও রাশ টানা জরুরি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম