
প্রিন্ট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম
ব্যবসায়ীকে হত্যা করে লাশ গুম: স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৭ পিএম

আরও পড়ুন
প্রায় ১০ বছর আগে টাকা-পয়সা লেনদেনকে কেন্দ্র করে সদরঘাটের কাপড় ব্যবসায়ী কামরুল হাসানকে হত্যার পর লাশ গুম করার দায়ে সোহেল রানা এবং তার স্ত্রী রুমা আক্তার ওরফে সুমনাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ৩য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
এ ছাড়া হত্যার পর লাশ গুমের দায়ে তাদের আরও তিন বছর করে কারাদণ্ড, তিন হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরও এক মাস করে বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার আগে জামিনে থাকা দুই আসামি আদালতে হাজির হন। রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, কামরুল হাসান তাদের কাছে আড়াই লাখ টাকা পেত। টাকা যেন না দিতে হয় এজন্য তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করে।
জানা গেছে, কামরুল হাসানকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার খালা অ্যাডভোকেট রেহেনা পারভীন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। আদালত মামলাটি পল্টন থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে পল্টন থানা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সেই অভিযোগপত্রে নারাজি দাখিল করেন রেহানা পারভীন। পরে আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক হারুনর রশীদ তদন্ত শেষে দুইজনকে অভিযুক্ত করে গত ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্তে কামরুল হাসানকে খুন করে লাশ ঘুমের রহস্য ওঠে আসে। ভিকটিমের লাশ খণ্ড করে বস্তায় ভরে বিলের মধ্যে ফেলে দেয় আসামিরা।
২০১৮ সালের ৫ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু করেন আদালত।বিচার চলাকালে আদালত ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য নেন।
উল্লেখ্য, দণ্ডিত সোহেল রানা ২০২৩ সালে রাজধানীর উত্তরার ডাচ বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ডাকাতির মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি।