
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৬ এএম
‘জুলাই গণহত্যা মামলার বিচার বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনালেই হবে’

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম

আরও পড়ুন
জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলোর বিচার বাংলাদেশের এই ট্রাইব্যুনালেই করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। আমরা কোনো অবস্থাতেই এই বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) প্রেরণ করতে চাই না। এটা আমাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই আইসিসি আমাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিক। সেটা আমরা অবশ্যই গ্রহণ করব। যেমনটি আমরা জাতিসংঘের কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম। তারা আমাদের প্রসিকিউটর ও তদন্ত কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ট্রেনিং দিয়ে সাহায্য করেছেন। কিন্তু মামলাগুলো বিচারের জন্য আইসিসিতে প্রেরণ করা হবে না। এটাই এখন পর্যন্ত আমাদের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে সক্ষম। সাক্ষীরা এখানকার। সুতরাং এই বিচার বাংলাদেশে করতে হবে, এটাই হচ্ছে স্বাভাবিক বিষয়। আইসিসিতে তখনই যেতে হয়, যদি কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে সেই রাষ্ট্র সক্ষম না হয়।
সাবেক এমপি ফজলে করিমকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি : জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় চট্টগ্রাম-৬ রাউজান আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে এক দিন জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৬ এপ্রিল তাকে জিজ্ঞাসাবাদের দিন ধার্য করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এদিকে চট্টগ্রামে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যুবলীগ কর্মী মো. ফিরোজকে মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আদালতে বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রামে ৯ জন শহিদ এবং ৪৫৯ জন আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এ মামলায় আরও অনেকের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সে কারণে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালতে আরও তিন মাস সময় আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৭ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলায় ৩ পুলিশ সদস্যকে হাজিরের নির্দেশ : জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের সময় সাভারের আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলায় আরও তিন পুলিশ সদস্যকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তারা হলেন- ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, বরখাস্ত ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী ও ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।আগামী ১৫ এপ্রিল তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।