গুলশানে বাসায় তল্লাশির নামে ভাঙচুর লুটপাট, গ্রেফতার তিনজন কারাগারে

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:০২ পিএম

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর রাজধানীর গুলশানের বাসায় ঢুকে তল্লাশির নামে তছনছ, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে গ্রেফতার তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিন ও রিমান্ড উভয় নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- ভবনের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক শাকিল আহমেদ, জুয়েল খন্দকার ও তার ছেলে শাকিল খন্দকার।
আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মোক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক মো. ফরিদ হোসেন তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড ও জামিন উভয় নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টা ৫০ মিনিটে গুলশান-২ নম্বর রোডের বাসায় ১৪ থেকে ১৫ জন বেআইনি জনতাবদ্ধভাবে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর ও তছনছ করে। বাসার দুজন লোককে মারধর করে কী কী আছে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা। এ সময় আসামি শাকিল খন্দকার আলমারি ভেঙে একটি স্বর্ণের চেইন, আসামি জুয়েল খন্দকার একটি স্বর্ণের চেইন, আসামি শাকিল আহমেদ একটি স্বর্ণের পায়েল ও একটি হাতের আংটিসহ মোট ২ ভরি আট আনা স্বর্ণ নেন। এ ছাড়া অন্য আসামিরা আলমারি থেকে জিনিসপত্র ভাঙচুর করে মেঝেতে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় বুধবার গুলশান থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৃগুলশানের ওই বাসায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ, অস্ত্র ও আওয়ামী লীগের দোসরদের লুকিয়ে রাখা হয়েছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে দরজা ভেঙে ‘তল্লাশির’ নামে ২০-২৫ জন লোক ঢুকে পড়ে। তল্লাশির অজুহাতে সেখানে প্রবেশ করে বাসাটি তছনছ, ভাঙচুর ও লুটপাটের চেষ্টা করে তারা। ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টায় ঘটনাস্থলে আসে গুলশান জোনের ডিসি, গুলশান থানার ওসিসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সেখান থেকে তিনজনকে আটক করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, শাকিল আহমেদ একসময় বাসাটিতে কেয়ারটেকারের কাজ করতো। সেই মূলত জনতাকে ২০০-৩০০ কোটি টাকা পাওয়া যেতে পারে তথ্য দিয়ে বাসাটিতে তল্লাশি চালানোর জন্য উসকানি দেয়।