বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানো যাবে না
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম
![বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানো যাবে না](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/12/17/Untitled-7-67617e27db68b.jpg)
আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন এবং ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ।এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পটকা, আতশবাজিসহ ফানুস না ওড়ানোসহ বিভিন্ন নির্দেশনার সিদ্ধান্ত হয়।
পরে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কৌশলগত স্থানে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন ভ্যান, কুইক রেসপন্স টিম এবং সোয়াট টিম ইত্যাদি মোতায়েন থাকবে।
এছাড়াও বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটে পটকা, আতশবাজিসহ ফানুস ওড়ানো যাবে না। বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট, মন্তব্য বা ছবি আপলোড করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গুজব প্রতিরোধে সাইবার মনিটরিং ও সাইবার পেট্রোলিং জোরদার করা হবে।
সভায় সারা দেশে গির্জাগুলোর নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আয়োজকদেরকে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, গির্জাগুলোতে পর্যাপ্ত আলো, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর বা চার্জার লাইটের ব্যবস্থা রাখতে অনুরোধ জানানো হয়। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজার, কুয়াকাটাসহ দেশের সব পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। কেউ উচ্চস্বরে গাড়ির হর্ণ বাজালে ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরবাইক চালালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সভায় উপস্থিত খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারা বড়দিন উপলক্ষে পুলিশের গৃহীত ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) মো. আলমগীর আলম বলেন, খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট নিরাপদে, নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষ্যে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, শুভ বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট নিরাপদে সুন্দরভাবে পালিত হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আকরাম হোসেন, স্পেশালে ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, সেন্ট ম্যারিস ক্যাথিড্রাল চার্চের পাল পুরোহিত ফাদার আলবার্ট রোজারিও, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও ও যুগ্ম মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।
এ ছাড়া পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং জেলার পুলিশ সুপাররা অনলাইনে সভায় সংযুক্ত ছিলেন।