হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অপ্রীতিকর ঘটনা
মামলার বাদীর ওপর আসামিদের হামলা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
জাল-জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ মামলায় আগাম জামিন নিতে আসা আসামিদের হামলার শিকার হয়েছেন বাদী রাজধানীর বাড্ডার পাথর ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম। তিনি এ ঘটনার বিচার চেয়ে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির কাছে আবেদন করেছেন।
রোববার সুপ্রিমকোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আদালতের মতো পবিত্র জায়গায় এসে যদি হামলার শিকার হই তাহলে যাব কোথায়? সেদিন যদি আইনজীবী আমাকে রক্ষা না করতেন এতদিন আমার কবর হয়ে যেত।
এ বিষয়ে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। আদালত পবিত্র অঙ্গন। এখানে মানুষ বিচার চাইতে আসেন। আদালতে এসে হেনস্তার শিকার হওয়ার ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। আমি এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি আমি মামলার প্রয়োজনে হাইকোর্টে আসি। ওই দিন আগাম জামিনের জন্য অ্যাসরোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসাদুল ইসলাম ও পরিচালক মো. আমির হোসাইনও হাইকোর্টে আসেন। একপর্যায়ে আসামিরা আমার পিছু নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের সামনে আসেন। দুই আসামির নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন সন্ত্রাসী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালান। এলোপাতাড়ি মারধর করে বিভিন্ন জায়গায় জখম করেন। একপর্যায়ে আমি প্রাণ রক্ষার্থে এক আইনজীবীর কক্ষে আশ্রয় নিই। পরে আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। সুপ্রিমকোর্ট বার সম্পাদক বরাবর লিখিত আবেদন করেছি। আসামিরা এখন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন। আমাকে জানে মেরে ফেলার আশঙ্কা করছি আমি।
তিনি সেদিনের হামলার ঘটনা সিসি টিভি ফুটেজ দেখে আসামিদের অতিদ্রুত গ্রেফতারের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির সহযোগিতা কামনা করেন।
বাড্ডার মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডার্সের কর্ণধার আমিনুল ইসলাম জাল-জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পল্টন থানায় অ্যাসরোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসাদুল ইসলাম ও পরিচালক মো. আমির হোসাইনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলায় ৩০ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলায় আগাম জামিন নিতে আসেন আসামিরা।