কারাগারে জবাবদিহি তৈরি করেছি: আইজি প্রিজন্স
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৭ পিএম
কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম আনিসুল হক বলেছেন, আপনারা কারাগারে গেলে দেখতে পাবেন, প্রতিটি কারাগারে দুটি বড় বড় ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড রয়েছে। একটি বোর্ডে দর্শনার্থীরা বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। আরেকটি থাকে কারাগারের ভেতরে।
তিনি বলেন, ডিসপ্লেতে জামিনের তথ্য দেওয়া হয়। এতে সুবিধা হচ্ছে, জামিনপ্রাপ্তকে যে আত্মীয় নিতে এসেছেন তিনিও দেখতে পান, আর যে বন্দি রয়েছেন তিনিও জানতে পারেন তার জামিন হয়েছে। শুধু একটি ক্ষেত্রেই নয়, কারাগারে সব ক্ষেত্রেই জবাবদিহির কালচার তৈরি করেছে।
কারা অধিদপ্তরে মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কমিটির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সহসভাপতি শাহীন আবুদল বারী, অর্থ সম্পাদক হরলাল রায় সাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রাজী, দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন তালুকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিহাল হাসনাইন, প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক ইসমাঈল হুসাইন ইমু, ইসি সদস্য আলী আজম ও কালিমউল্যাহ নয়ন উপস্থিত ছিলেন।
আইজি প্রিজন আনিসুল হক বলেন, একজনের নাম দিয়ে অন্যজনের কারাগারে যাওয়ার সুযোগ এখন নেই। এনটিএমসির সঙ্গে সমন্বয় করে একটি ডেটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। একজন বন্দি যখন জেলখানায় প্রবেশ করে তখন তার ফিঙ্গার প্রিন্ট, আইরিস ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে এন্ট্রি করা হয়।
কারাবন্দিদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ মনোযোগী জানিয়ে তিনি বলেন, জনবল বৃদ্ধির দিকেও আমরা মনোযোগী। প্রায় পাঁচ হাজার জনবল পাইপলাইনের রয়েছে রিক্রুট করার জন্য। রাজশাহীতে কারা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নির্মাণ হয়েছে আর কারা প্রশিক্ষণ একাডেমি কেরানীগঞ্জে বানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কারা মহাপরিদর্শক বলেন, পুলিশ বন্দিকে যখন কারাগার থেকে বুঝে নেয় তখন ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, লেখালেখি করা হয়- জেলখানায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা ঠিক না। পুলিশের চাহিদের পরিপ্রেক্ষিতে ডান্ডাবেড়ি লাগিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ৩৮টি কারাগারের কর্ম অধিদপ্তর থেকে সিসি টিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হয়। সব কারাগারকে সেন্ট্রাল মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হবে।