সাদিক আবদুল্লাহ প্রার্থিতা ফিরে পাবেন কিনা, জানা যাবে ২ জানুয়ারি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:০০ পিএম
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ তার প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে ফের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছেন। তার আবেদনের শুনানির আগামী ২ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, হাইকোর্টের আদেশের পর প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছিলেন সাদিক আবদুল্লাহ। কিন্তু সেই আদেশ স্থগিত চেয়ে ওই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক চেম্বার আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে গত মঙ্গলবার চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন। সেই স্থগিতাদেশ তুলে নিতে একটি আবেদন করেছি। এ আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী ২ জানুয়ারি দিন ধার্য হয়েছে।
গত ১৫ ডিসেম্বর বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানিতে এ রায় দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেন একই আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কর্নেল জাহিদ ফারুক। অন্যদিকে জাহিদ ফারুক মামলার বিষয়ে তথ্য গোপন করেছেন অভিযোগ তুলে তার প্রার্থিতা বাতিলের আপিল করেছিলেন সাদিক আবদুল্লাহ। সেই আপিল নামঞ্জুর করা হয়। ফলে জাহিদ ফারুকের প্রার্থিতা বহাল থাকে।
এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টের দারস্থ হন সাদিক আবদুল্লাহ। সোমবার সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফলে প্রার্থিতা ফেরত পান তিনি।
এরপর সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কর্নেল জাহিদ ফারুক। মঙ্গলবার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। ফলে তার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।