Logo
Logo
×

আইন-বিচার

সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে রিট খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৩৪ পিএম

সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে রিট খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের আদেশ বহাল ও রিটকারীকে এক লাখ টাকা জরিমানার রায় প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ। রিটকারী আইনজীবী এমএ আজিজ খানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। 

বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করেন।

এর আগে গত ১৮ মে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে রিটকারী আইনজীবী এমএ আজিজ খানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। 

হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে রিটকারীর আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৮ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ আজ (বুধবার) রায় প্রকাশ করেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারি আইনজীবী এমএ আজিজ খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।

মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণার করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রথম একটি রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এমএ আজিজ খান। রিটে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে প্রকাশ করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়।

রিটটি শুনতে বিব্রতবোধ করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিব্রতবোধ করেন। রিট আবেদনটি তারা প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন।

একই সঙ্গে রিটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এমএ আজিজ খান। এই রিটে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়। এদিকে একই বিষয়ে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আরেকটি রিট দায়ের করেছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরী। সেটিও খারিজ করা হয়েছে।

রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ আদেশে বলা হয়, রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ‘দ্য অফিস অব প্রফিট’ ধারণ করেন। কিন্তু এটি প্রজাতন্ত্রের কর্মে একটি লাভজনক (অফিস অব প্রফিট) পদ নয়। রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণের পদ্ধতি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে অন্যদের নিয়োগের মতো নয়। তদুপরি প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মে নিয়োজিত কর্মচারীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের যেসব বিধান ও নিয়ম রয়েছে, সেগুলো রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

আদেশে আরও বলা হয়, সংবিধান অনুসারে ‘নির্বাচন’ ও ‘নিয়োগ’ একই অর্থ বহন করে না। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশের ঐক্যের প্রতীক। আর সংবিধানের নবম ভাগ (বাংলাদেশের কর্ম বিভাগ) অনুসারে যারা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত, তারা প্রজাতন্ত্রের সেবায় নিয়োগকৃত কর্মচারী।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে তাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্র্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। গত ২৪ এপ্রিল শপথ নেন মো. সাহাবুদ্দিন।  বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। একইদিন তিনি রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম