হিরো আলমের ওপর হামলা: রিমান্ডে দুইজন, কারাগারে পাঁচজন
আদালত প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৩, ০৬:৫৭ পিএম
ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনের ভোট চলাকালে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় করা হত্যাচেষ্টার মামলায় দুজনকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
ছানোয়ার কাজী (২৮) ও বিপ্লব হোসেন (৩১) নামের দুইজনকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী থানার উপ-পরিদর্শক নুরে উদ্দিন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একই সময় মামলার পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে তাদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- মাহমুদুল হাসান, মুজাহিদ খান, আশিক সরকার, হৃদয় শেখ ও সোহেল মোল্লা।
একই দিন হামলার ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানায় এই মামলা করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ। মামলায় ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম এবং তার ব্যক্তিগত সহকারী পরান সরকারসহ প্রতিনিধি রাজীব খন্দকার, মো. রনি, মো. আল-আমিনসহ অনেকে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় হিরো আলম এবং আমিসহ (মামলার বাদী) প্রতিনিধিরা বিকাল সাড়ে ৩টায় বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পরিদর্শনে যাই। প্রার্থী হিরো আলমসহ আমরা পাঁচ-ছয়জন বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় অজ্ঞাত ১৫-২০ জন বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকে।
একপর্যায়ে বিবাদীরা হত্যার উদ্দেশে হিরো আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিলঘুসি মারতে থাকে। মারধরের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাতপরিচয় একজন হত্যার উদ্দেশে দুই হাতে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে এবং অন্য একজন তার তলপেটে লাথি মারলে হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যান।
তখন অন্য বিবাদীরা হিরো আলমকে এলোপাতাড়ি কিলঘুসি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং টানাহেঁচড়া করে। ওই সময়ে আমি এবং অপর ব্যক্তিগত সহকারী পরান সরকার মিলে হিরো আলমকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তারা আমাকেসহ পরান সরকার, রাজীব খন্দকার, রনি ও আল-আমিনকে মারধর করে জখম করে। এরপর কেন্দ্রে ডিউটিরত পুলিশ এবং একতারা প্রতীকের সমর্থনকারীদের সহায়তায় হিরো আলমসহ আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।
এদিকে হামলার ঘটনার পর হিরো আলমকে রামপুরার বেটার লাইফ একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন হিরো আলম।