তারেক-জোবায়দার মামলায় আরও চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৩, ০৬:১৯ পিএম
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আরও চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
সাক্ষীরা হলেন কর অঞ্চল-৬ এর কর কমিশনার নাফিজ আহমেদ আখতার, প্রধান সহকারী মোস্তাফিজুর রহমান, উপ-কর কমিশনার মহিদুল ইসলাম ও ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের কার্ড ডিভিশনের প্রিন্সিপাল অফিসার কাজী মইনুদ্দিন চিশতিয়া।
বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এ নিয়ে মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। এর আগে গত ২১ মে মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদার সাক্ষ্যের মাধ্যমে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এই মামলায় গত ৫ জানুয়ারি দুজনের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন। এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করে দুদক। পরের বছর এই তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় দুদক।
এদিকে গত বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন।
রিট খারিজ করে দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট একইসঙ্গে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়ে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এ রায় পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে মামলার রেকর্ড ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠাতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা ও দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত এক যুগের বেশি সময় ধরে সপরিবার লন্ডনে অবস্থান করছেন তারেক রহমান।