Logo
Logo
×

যুগান্তর বর্ষপূর্তি

সরকার জবাবদিহিমূলক না হলে দুর্নীতি বেশি হয়

Icon

ড. এ কে এনামুল হক

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম

সরকার জবাবদিহিমূলক না হলে দুর্নীতি বেশি হয়

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা মোতাবেক শ্বেতপত্র প্রণয়নের জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেই কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তাদের প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করেছে। এ প্রতিবেদন প্রণয়নকালে বিভিন্ন মহল থেকে আমরা সহযোগিতা পেয়েছি। যে প্রতিষ্ঠানের কাছেই আমরা তথ্য চেয়েছি, তারা আন্তরিকভাবে তা সরবরাহ করেছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমরা যেসব তথ্য বিভিন্ন সূত্র থেকে পেয়েছি, তার সব কাজে লাগাতে পারিনি। কারণ আমাদের ৯০ দিন বা তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন করতে হয়েছে। সাধারণ মানুষের একটি প্রচলিত ধারণা হচ্ছে, শ্বেতপত্র প্রণয়ন হচ্ছে অনেকটা চোর ধরার মতো একটি কাজ। কিন্তু আমাদের ধারণাটি তেমন ছিল না। আমরা মনে করেছি, শ্বেতপত্র তৈরি করা হচ্ছে দেশের ভবিষ্যৎ সুন্দর করার জন্য। আর উন্নয়নের জন্য দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আমরা বুঝি, কিন্তু তার মাত্রাটা কোন পর্যায়ে আছে তা নিরূপণ করা এবং তার ভিত্তিতে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার দিকনির্দেশনা দেওয়াই ছিল শ্বেতপত্র প্রণয়নের মূল উদ্দেশ্য। বিভিন্ন দপ্তর থেকে কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করব এবং তা কীভাবে ব্যবহার করব, এটা নিয়ে আমাদের প্রথমেই ভাবতে হয়েছে। বিগত সরকারের প্রতি মানুষের এক ধরনের ক্ষোভ ছিল, এটা অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, মানুষের মনে সৃষ্ট ক্ষোভ সত্যি কিনা তা নির্ণয় করা।

আমি মনে করি, শ্বেতপত্র প্রণয়ন করতে গিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক কিছুই শিখেছি। দেশে নানা ধরনের দুর্নীতি আছে তা আমরা জানতাম। কিন্তু সেই দুর্নীতির মাত্রাটা কেমন এবং তার গভীরতা কতটুকু, সেটা আমাদের সঠিকভাবে জানা ছিল না। দুর্নীতি আমাদের সমাজব্যবস্থার অত্যন্ত গভীরে প্রবেশ করেছে। দুর্নীতির কারণে পুরো ব্যবস্থাটাই বদলে গেছে। অর্থনীতি, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে চলতে পারছে না দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তারের কারণে। দুর্নীতির কারণে উন্নয়ন বিঘ্নিত হচ্ছে। আর যেটুকু উন্নয়ন হচ্ছে তার সুফল জনগণ ন্যায্যতার ভিত্তিতে ভোগ করতে পারছে না। এ অবস্থা একটি দেশের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ। বিগত সরকারের প্রথম দিকে দুর্নীতি এবং সামাজিক অনাচার এতটা প্রকট ছিল না। ২০০৯ থেকে ২০১৩-২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশের অবস্থা এতটা খারাপ ছিল না। যেটা শিক্ষণীয় তা হচ্ছে জবাবদিহিমূলক সরকার না থাকলে দুর্নীতি ও অনাচার বেশি হয়। পুরো সিস্টেমটাই দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন যখন ঠিকমতো হলো না, নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হলো, সেই অবস্থায় দুর্নীতির মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনও যখন সঠিকভাবে অনুষ্ঠিত হলো না, তখন দুর্নীতির মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। এটা আমাদের জন্য এক ধরনের শিক্ষা এ কারণে যে, আমরা বুঝতে পারছি দেশে জবাবদিহিমূলক সরকারের উপস্থিতি না থাকলে দুর্নীতির মাত্রা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। আমরা সাধারণভাবে বলি, নির্বাচন অর্থ হচ্ছে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা। কিন্তু আমার কাছে তা মনে হয়নি। আমি মনে করি, নির্বাচন অর্থ শুধু ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারা নয়, একটি জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা তৈরি রাখা বা নিশ্চিত করা। যারা সরকার গঠন করবেন, জনগণের প্রতি তাদের এক ধরনের দায়বদ্ধতা সৃষ্টি করা। একটি রাজনৈতিক দল যদি বুঝতে পারে আগামীতে তার দল নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন নাও করতে পারে, তাহলে তার কার্যক্রমের মধ্যে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি থাকবে। কারণ তারা বুঝতে পারবে যদি কোনো দুর্নীতি বা অন্যায় করা হয়, তাহলে পরবর্তী সরকার আমলে তার বিচার হতে পারে। তাই তারা যে কোনো কাজ করার সময় অধিকতর সতর্ক থাকবে। আর কোনো রাজনৈতিক দল যদি নিশ্চিত হয়ে যায় যে, আগামী নির্বাচনে তাদের পরাজিত করার কোনো সুযোগ নেই, তাহলে তারা মাত্রাহীন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়তে পারে।

অনেকেই মনে করেন, শুধু রাজনীতিকরাই দুর্নীতি-অনিয়ম করে থাকেন। কিন্তু আসলে তা ঠিক নয়, পুরো প্রশাসন ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোই দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠানই ঠিকভাবে চলছে না। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সেবা প্রদান করতে পারছে না। আমি বলছি না যে, কোনো প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীই দুর্নীতিগ্রস্ত। তবে তাদের একটি অংশ দুর্নীতিগ্রস্ত এবং এরা খুবই ক্ষমতাবান। দুর্নীতি আমাদের পদ্ধতির মধ্যে ঢুকে গেছে।

আমরা দায়িত্ব পালনকালে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছি। এর কারণ হচ্ছে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর অনেক কিছুই বদলে গেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো আর আগের মতো নেই। তারা সততা ও দায়িত্বশীলতা প্রদর্শনের চেষ্টা করছে। যাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে, তারা সবাই বলেছে, আমরা এ ধরনের দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত নই। আমরা এমন কাউকে খুঁজে পাইনি, যিনি দুর্নীতি-অনিয়মের দায় স্বীকার করেছে। যারা দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে জড়িত, তাদের খুঁজে বের করাটি ছিল একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। আমরা যেসব কাজ করেছি, তার সবই যে অকাট্য প্রমাণের ভিত্তিতে করেছি, তা নয়। তবে আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। আমরা দুর্নীতি-অনিয়মের প্রাক্কলন করেছি এবং সেটা বেশ ভালোভাবেই করতে পেরেছি।

দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতিবছর ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লুটে নেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা প্রাক্কলন করেছি। এটা আরও বেশি হতে পারে। এটা সম্ভবত ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটা মোট জিডিপির সাড়ে ৩ শতাংশের সমান। এটা হয়তো জিডিপির অনুপাতে খুব একটা বেশি নয়। কিন্তু তারপরও এটা দেশের অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের ক্ষতি। এ দুর্নীতিলব্ধ অর্থের একটি অংশ আবার বিদেশে চলে গেছে; আর একটি অংশ দেশেই আছে। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের যে অংশ দেশেই রয়েছে, সেটা যদি মানুষের আলমারির মধ্যে বন্দি থাকে, তাহলে অর্থনীতির জন্য তা মারাত্মক ক্ষতিকর হবে। কিন্তু এই অর্থ যদি সার্কুলেশনে থাকে অর্থাৎ আর্থিক কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়, তাহলে সেটা খুব একটা ক্ষতির কারণ হবে না। আমি মনে করি, আমাদের বিদ্যমান অনেক নীতিমালার পরিবর্তন করা জরুরি। এটা করা হলে দেশের অর্থনীতির উপকার হবে। এর অর্থ অবশ্য এটা নয় যে, দুর্নীতিবাজদের কিছুই বলা হবে না বা তাদের আমরা ছেড়ে দেব। আমাদের অবশ্যই দুর্নীতি রোধ করার চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু যতদিন সেটা সম্ভব না হবে, ততদিন দুর্নীতিলব্ধ অর্থ যাতে দেশেই থাকে এবং আর্থিক কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

অর্থ পাচার দেশের অর্থনীতির জন্য একটি জটিল সমস্যা। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারব না প্রতিবছর কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে। তবে পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ যে উদ্বেগজনক তা বলা যেতে পারে। অর্থ পাচার পদ্ধতিও অভিনব। আমরা সাধারণভাবে মনে করি, অর্থ পাচার মানে হচ্ছে দেশ থেকে টাকা বিদেশে চলে যাওয়া। কিন্তু বিদেশে উপার্জিত অনেক অর্থ দেশে আনা হয়নি। কাজেই আমরা জানতেও পারছি না কী পরিমাণ টাকা দেশে না এসে বিদেশেই রয়ে গেছে। বিদেশে উপার্জিত অর্থ যদি দেশে আসত, তাহলে দেশ সেই টাকা ব্যবহার করে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারত। দেশ থেকে টাকা বিদেশে চলে যাওয়াকে আপনি অর্থ পাচার বলতে পারেন। এ ধরনের অর্থ পাচার রোধে আপনি হয়তো বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু যে টাকা বিদেশ থেকে দেশেই আসেনি, সেটা আপনি কীভাবে চিহ্নিত করবেন? সেই টাকা কীভাবে উদ্ধার করবেন? কাজেই আমি মনে করি, পাচারকৃত অর্থ এবং যে অর্থ বিদেশ থেকে দেশে আসেনি, সেটা ফিরিয়ে আনার কাজটি খুব সহজ হবে না।

দেশের অভ্যন্তরে অবৈধ অর্থের লেনদেন করতে নানা সমস্যা হতে পারে। তাই অনেকেই এখন আর দেশে অবৈধ অর্থের লেনদেন করেন না। তারা বিদেশে এ লেনদেন করেন। বিদেশে অবৈধ অর্থের লেনদেন ইচ্ছা করলেই বন্ধ করা যাবে না। এটা চলতেই থাকবে, যতদিন আমরা বিদ্যমান আইনকানুনগুলো হালনাগাদ করতে না পারব। দুর্নীতির মাধ্যমে যে অর্থ পাচার হচ্ছে তার পরিমাণ দেখে যদি কেউ মনে করেন আমরা বড় ধরনের কিছু আবিষ্কার করে ফেলেছি, তাহলে ভুল হবে। আমরা শ্বেতপত্র প্রণয়ন করতে গিয়ে একটি চমৎকার বিষয় অনুধাবন করতে পেরেছি, তা হলো, সাধারণভাবে মনে করা হয় ঘুস, চাঁদাবাজির মাধ্যমে দুর্নীতিলব্ধ অর্থ উপার্জন করা হয়। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি, ২৮ ধরনের পন্থায় দুর্নীতি করা হয়। দুর্নীতিটা এমন একপর্যায়ে চলে গেছে যে, ঘুস প্রদানকে মনে হবে বকশিশ প্রদানের মতো। আমাদের দেশে দুর্নীতিকে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়নি, এটাকে একটি ‘শিল্পে’ পরিণত করা হয়েছে। দুর্নীতির কাজগুলো অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে করা হয়। প্রতিনিয়তই নতুন নতুন দুর্নীতির কৌশল আবিষ্কৃত হচ্ছে। সব দুর্নীতি যে শুধু রাজনীতিকরা করেছেন তা নয়, সরকারি আমলা থেকে শুরু করে যাদের ন্যূনতম সুযোগ আছে, তারাই দুর্নীতিতে যুক্ত হয়ে পড়েছে। অবশ্য এর মধ্যেও ব্যতিক্রম কিছু ভালো মানুষ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই আছে। রাজনীতিকরা দুর্নীতি করেন, আমরা তাদের দোষারোপ করি। কিন্তু রাজনীতিকদের দুর্নীতির পেছনে যারা কারিগর হিসাবে কাজ করছে, তাদের যদি চিহ্নিত না করা হয়, তাহলে তারা আরও অনেক দূর পর্যন্ত যাবেন।

অনেকেই প্রশ্ন করেন, যে দেশে অর্থ পাচার হয়ে যায় সেই দেশ যদি সহায়তা না করে, তাহলে কি পাচারকৃত অর্থ এবং তা দিয়ে ক্রয়কৃত সম্পদ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে? আসলে পাচার বলতে যদি বাংলাদেশ থেকে অবৈধ উপায়ে অর্থ বিদেশে চলে যাওয়াকে বোঝায়, তাহলে তার পরিমাণ খুবই সামান্য। বরং উদ্বেগজনক ব্যাপার হচ্ছে, বিদেশে যে অর্থ আছে, তা দেশে আসছে না। অর্থাৎ যে অর্থ দেশে লেনদেন হওয়ার কথা ছিল, তা বিদেশেই লেনদেন হচ্ছে। এর পরিমাণ অত্যন্ত বেশি এবং উদ্বেগজনক। বিদেশে যে অর্থ উপার্জিত হচ্ছে, তা দেশে আসেনি কিন্তু তাদের অ্যাকাউন্টে তা খরচ হিসাবে দেখানো হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গেছে, দুর্নীতি করার জন্য প্রচলিত আইন বদলে ফেলা হয়েছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করা হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তব কার্যকারিতা ছিল না। নিজের পছন্দের মানুষকে কাজ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় নীতি পরিবর্তন করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কোনো কাজে যদি দায়মুক্তি পাওয়া যায়, তাহলে সেখানে তো দুর্নীতি হবেই। এক সময় আমরা দুর্নীতি বলতে সরাসরি লেনদেনকে বুঝতাম। এখন দুর্নীতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, নগদ অর্থ উৎকোচ দেওয়াকে বকশিশ মনে করা হয়।

আমি মনে করি, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি শক্তিশালী ও স্বাধীন কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। সেই কমিশন দুর্নীতি সংক্রান্ত আইনগুলোকে পরিবর্তন/সংশোধনের সুপারিশ করতে পারে। দুর্নীতি দমন কমিশনসহ যারা দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন অথচ সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। (অনুলিখন : এম এ খালেক)

লেখক : ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর, ইউসিএসআই ইউনির্ভাসিটি, বাংলাদেশ ক্যাম্পাস

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম