Logo
Logo
×

যুগান্তর বর্ষপূর্তি

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে বিএনপির ভূমিকা

Icon

আমিনুল হক

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫৩ এএম

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে বিএনপির ভূমিকা

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য ও চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে, গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের অগাধ বিশ্বাস ও দেশের প্রতি ভালোবাসা তাদের জীবনের চেয়েও মূল্যবান। গণতন্ত্র ও দেশপ্রেমই এ জাতির শেষ কথা। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী শেখ মুজিবের শাসনামল, শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠা, বাকশাল কায়েম ও রক্ষীবাহিনীর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন-এর প্রতিটি ধাপেই এদেশের মানুষ প্রতিবাদ ও রক্ত দিয়ে তার পাওনা বুঝে নিয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় ’৯০ আর ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে।

’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনার আগে ছোট্ট করে একটু ছুঁয়ে যেতে চাই ’৭১ এবং এর পরবর্তী শেখ মুজিবের শাসনামলকে। বিষয়টি জরুরি এ কারণে যে, পাঠকের বুঝতে সুবিধা হবে শেখ হাসিনা কীভাবে তার বাবার চেয়েও বড় ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছিলেন।

শেখ মুজিবের মূল চাওয়া ছিল পূর্ববঙ্গের স্বায়ত্তশাসন এবং নিজের ও আওয়ামী লীগের সেই শাসনের সুফল ভোগ করা। ’৭০-এর নির্বাচনে জয়লাভের পর ক্ষমতা হাতে না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগ। পাকিস্তানের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে, এবং পূর্ববঙ্গের তথা বাংলাদেশের মানুষের প্রতি শোষণের ফলেই এদেশের সাধারণ মানুষ ফুঁসে ওঠে। কাজেই ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ছিল এদেশের আমজনতার, যারা শোষিত ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের মাধ্যমে। আর যুদ্ধের পুরোটা সময় শেখ মুজিব ছিলেন পাকিস্তানে। ২৫ মার্চের হত্যা সংঘটিত হওয়ার পর পুরো জাতি যখন দিশেহারা, তখন একজন তরুণ আর্মি অফিসারের এক ঘোষণায় পুরো জাতি যেন সংবিৎ ফিরে পেল। বেতারে ঘোষিত হলো ‘আমি মেজর জিয়া বলছি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিচ্ছি...।’ এ ঘোষণা সম্মোহনী বার্তার মতো ছড়িয়ে পড়ল সারা দেশে। মানুষ যেন জেগে উঠল স্বাধীনতার আশায়, ঝাঁপিয়ে পড়ল মুক্তিযুদ্ধে। নয় মাসের যুদ্ধে জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর নেতৃত্বে বিজয় লাভ করল মুক্তিবাহিনী, জন্ম হলো স্বাধীন বাংলাদেশের।

এই যে মেজর জিয়াউর রহমান, জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী, দেশপ্রেমিক জনতার মুক্তিযুদ্ধ-সবারই অবদান ছিল তাতে; কিন্তু তা যেন হয়ে গেল শুধু একজন ব্যক্তি ও একটি দলের। পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরে জনতার অর্জনকে কুক্ষিগত করে শেখ মুজিব তার নিজের আর আওয়ামী লীগের অর্জন বলে চালিয়ে দিলেন। দেশ পুনর্গঠন ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বাদ দিয়ে ভারতের তাঁবেদারি, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ভিন্ন মতকে দমন করাই যেন প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়াল শেখ মুজিব সরকারের। আর পঁচাত্তরে বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেন শেখ মুজিব। এরই ফলস্বরূপ সংঘটিত হয় পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ড। পরিসমাপ্তি ঘটে শেখ মুজিবের ফ্যাসিবাদী শাসনের।

এরপর নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশের জনগণ মিলে এক ঐতিহাসিক বিপ্লব সংঘটিত করে, যে বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করতে শুরু করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও প্রকৃতপক্ষে সাত দফা গোলামি চুক্তি, ৩০ বছর মেয়াদি মৈত্রী চুক্তি দেশের মানুষকে স্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদনের আনন্দকে ফিকে করে দেয়। এ ছাড়াও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুঃশাসন, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, লুটপাট এবং এসবের ফলে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদন করতে দেয়নি। এ বিপ্লবের মাধ্যমে দেশপ্রেমিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সমরনায়ক জিয়াউর রহমান জাতিকে উদ্ধারের দায়িত্ব নেন আরেকবার।

তিনি তার দৃঢ় ব্যক্তিত্ব, নেতৃত্ব ও জনপ্রিয়তা ব্যবহার করে সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। বাংলাদেশ সব ধরনের ষড়যন্ত্রমুক্ত হয়। এ বিপ্লবের নেতৃত্বে জিয়াউর রহমানকে দেখে দেশবাসী আশ্বস্ত হয় এবং জুনিয়র অফিসার ও সৈনিকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ একসঙ্গে রাস্তায় নেমে আসে স্বাধীনতার আনন্দে।

ক্যারিশম্যাটিক লিডার জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দলটি দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করে। যদিও বিএনপির যাত্রা শুরু হয়েছিল সামরিক শাসনের আওতায়, পরবর্তীকালে দলটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক শক্তিতে পরিণত হয়। গণমানুষের কাছে দলটির জনপ্রিয়তা দিনদিন বাড়তেই থাকে।

১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থান ছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ছাত্র-সমাজের উদ্যোগে যে গণ-অভ্যুত্থান ঘটে, সেখানে বিএনপি শুধু রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা প্রদান করেনি, বরং সাংগঠনিকভাবে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যায়, যার অন্যতম নেতৃত্বে ছিলেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি এ আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করে এবং জনগণের মাঝে অবস্থান সুদৃঢ় করে। দলের এ ভূমিকার ফলে ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং বিএনপি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রধান চালিকাশক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়। 

ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে গণ-অভ্যুত্থানের নজির বাংলাদেশে যেমন রয়েছে, তেমনি এসব আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি একটি প্রধান রাজনৈতিক দল হিসাবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।

অপরদিকে, ’৯০-এর আন্দোলনের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল ‘কার্যকর গণতন্ত্র’, আওয়ামী লীগ সেই গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার হারিয়ে একনায়কতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদের পথে হাঁটে শেখ মুজিবের কন্যা হাসিনার হাত ধরে। গণতন্ত্র উলটো দিকে ধাবিত হওয়ায় বিএনপি হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। বিএনপির মতে, গণতন্ত্রের মূল চরিত্র সমুন্নত রাখতে হবে, যা মানুষের অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। তাই বিএনপি তাদের রাজনৈতিক দর্শনে একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করে, এবং দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যায়।

২০০৮-এর প্রহসনের নির্বাচনের পর ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা প্রমাণ করতে শুরু করেন, তিনি বাকশাল কায়েম করা শেখ মুজিবের কন্যা। গুম, হত্যা, নির্যাতন, বিরোধী মত দমনের এক স্টিম রোলার চালনা শুরু করে তারা। পরপর তিনটি নির্বাচনে মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়ন করে। রাজনৈতিক দল হিসাবে বিএনপি কখনো এ ফ্যাসিবাদ মেনে নেয়নি এবং মাঠ ছাড়েনি। 

একটা পরিসংখ্যান দেখলেই বুঝতে পারবেন পাঠকরা, গত ১৫ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৪২ হাজার ৮২৫টির বেশি মামলা হয়েছে, মামলায় আসামির সংখ্যা ৫০ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৫ জনেরও বেশি। এটা একটা সংখ্যা মাত্র, কিন্তু এর ব্যপ্তি এত বেশি যে তা লিখে বোঝানো যাবে না। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী নিঃস্ব হয়ে গেছে, সামাজিকভাবে হেয় হয়েছে, শারীরিকভাবে পঙ্গু হয়ে গেছে নির্যাতনে। আমি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক, শুধু বিএনপির রাজনীতি করার কারণে একাধিকবার জেলে যেতে হয়েছে। এমনকি শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকারও হয়েছি।

এত কিছু লেখার অন্যতম কারণ হচ্ছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান যে একদিনে সাধিত হয়নি, সেটা বোঝানো। এর প্রেক্ষাপট তৈরিতে বিএনপির চেয়ে বেশি এবং দীর্ঘ সময় ত্যাগ আর কোনো একক রাজনৈতিক দলের নেই। এত নির্যাতন ও দমনপীড়নের পরও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে বিএনপি পথ হারায়নি।

আজকে কেউ কেউ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে নিজেদের আন্দোলনের ফসল বলে দাবি করছেন। আসলে বিএনপির এক দফা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে, যার নেতৃত্ব দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির ১৫ বছরের আন্দোলনের সঙ্গে যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন যুক্ত হয়েছে এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনার বন্দুকের নল থেকে বুলেট এসে ছাত্র-জনতার বুকে বিদ্ধ হয়, তখন জনতার পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে। 

আরেকটি তথ্য দেখলেই বিষয়টি বুঝতে সহজ হবে! ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে বিএনপির ৪২২ জন শহিদ হন। এর আগে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপির ১ হাজার ৫৫১ জন শহিদ হন। গুম হন ৪২৩ জন। আর সব রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ মিলিয়ে এ সময়ে গুমের সংখ্যা প্রায় ৭০০।

ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুধু ছাত্রদের দাবির প্রতিবাদ ছিল না, বরং তা বিএনপির দেখানো পথ ধরে রাজনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে রূপ নেয়। বিএনপির নেতাকর্মীরা সক্রিয়ভাবে এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে তারেক রহমানের রাজনৈতিক দিকনির্দেশনায় প্রাণবাজি রেখে রাজপথে সোচ্চার থাকেন এবং ছাত্র-জনতাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেন। এর ফলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং রাজনৈতিক মুক্তির পথ সুগম হয়।

নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার দৃঢ় নেতৃত্ব এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দেশের উন্নয়ন এবং জাতীয় ঐক্যের জন্য একটি প্রাসঙ্গিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে। বাংলাদেশে বিভিন্ন সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে তার দর্শন ও নীতির প্রতিফলন ঘটেছে দেশের জনগণের আস্থার মধ্য দিয়ে। বিশেষভাবে তারেক রহমান তার সঠিক নেতৃত্বের প্রমাণ দিয়েছেন জুলাই আন্দোলনে। রাষ্ট্র পুনর্গঠনে তিনি ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সেই ৩১ দফার আলোকে রাষ্ট্র সংস্কার করা হবে। 

বিএনপির ৩১ দফা প্রস্তাব বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা দেশের আগামী দিনগুলোর জন্য সুদৃঢ় পরিকল্পনা প্রদান করে। বিএনপির ৩১ দফা বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা, প্রয়োজনীয়তা ও উন্নয়নের একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা। এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গঠনে একটি বাস্তবিক দিশা হিসাবে কাজ করতে পারে। 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিএনপির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তারা দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে, বিশেষত ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে এবং গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাদের নেতৃত্বে দেশের জনগণ মুক্তির সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন এবং বিএনপির ৩১ দফা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম হবে বলে বিশ্বাস করি, যা দেশকে নতুন গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক, ও সমৃদ্ধির উচ্চতায় পৌঁছাতে সহায়ক হবে। 

লেখক: জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক; বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক ও আহ্বায়ক, ঢাকা মহানগর উত্তর, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম