Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

রজব মাসে নবীজির (সা.) আমল

Icon

মাহমুদ আহমদ

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৩ পিএম

রজব মাসে নবীজির (সা.) আমল

পবিত্র কুরআনে যে চারটি মাসকে সম্মানিত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে, মাহে রজব তার একটি। আরবি সপ্তম মাস রজব। 

হাদিসে এসেছে, হজরত আবু বাকরা (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) বলেছেন, ১২ মাসে বছর। তার মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। তিনটি মাস ধারাবাহিক আর তা হচ্ছে- যিলক্বদ, যিলহজ, মহররম আর চতুর্থ মাসটি হল-রজব, যা জুমাদাল উখরা ও শা’বান মাসের মধ্যবর্তী মাস (সহিহ বোখারি)।

অন্যান্য মাসের মতো রজব মাসের জন্য বিশেষ কিছু নফল আমল রয়েছে, যা আমল করলে আমরা জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি লাভ করতে পারি এবং জান্নাত লাভের পথ সুগম হবে। 

হাদিস পাঠে জানা যায়, যখন রজব মাস শুরু হত, তখন মহানবী (সা.) দুই হাত তুলে এ দোয়া পাঠ করতেন এবং সাহাবাদের পড়তে বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজবাও ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিগনা ইলা শাহরির রমাদান’ (মসনদে আহমদ)। 

অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দাও এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দাও। 

তাই বলা যায় মোমেন মুত্তাকিরা সম্মানিত রজব মাস থেকেই পবিত্র মাহে রমজানের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। 

হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি রাসুলেপাককে (সা.) রজব ও শাবান মাসে এত বেশি রোজা রাখতে দেখেছি, রমজান ছাড়া অন্য কোনো মাসে এত রোজা রাখতে দেখিনি। স্রষ্টার পরে মাখলুকের মধ্যে রাসুলেপাক (সা.) এর প্রথম স্থান হওয়ার পরেও তিনি রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে রজব মাস থেকে রোজা রাখা শুরু করতেন। 

তাই আমরাও যদি এই রজব মাস থেকে পবিত্র মাহে রমজানের প্রস্তুতি নিতে থাকি আর আল্লাহর কাছে দোয়া করতে শুরু করি যে, হে আল্লাহ! তুমি আমাকে সুস্থ্য রাখ আমি যেন আগত রমজানে পূর্বের তুলনায় অনেক বেশী ইবাদত-বন্দেগী, দানখয়রাত, কোরআন পাঠসহ সব পুণ্য কর্ম বেশী বেশী করতে পারি। 

এছাড়া হজরত রাসুল করিম (সা.) শাবান মাসেও অনেক বেশি ইবাদত করতেন আর তিনি (সা.) রমজান ছাড়াও প্রতি মাসে নফল রোজা রাখতেন আর বিশেষ করে রজব মাসে। আমরাও যদি মহানবী (সা.)-এর সুন্নত অনুযায়ী প্রতি মাসে কয়েকটি করে নফল রোজা রাখি তাহলে রমজানের রোজা আমাদের জন্য আরো সহজ হবে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম