
প্রিন্ট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম
ঋণ থাকা অবস্থায় ওমরাহ করলে আদায় হবে?

ইসলাম ও জীবন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০০ পিএম

আরও পড়ুন
প্রশ্ন: আমার বিভিন্ন মানুষের কাছে ঋণ আছে, এখন ঋণ থাকা অবস্থায় কি ওমরাহ করলে তা আদায় হবে?
উত্তর: নিয়ম হলো, যদি ঋণগ্রহীতার কাছে এই পরিমাণ অর্থ থাকে যে, সে ওমরাহর খরচ বাদ দিয়েও সহজে ঋণ পরিশোধ করতে পারবে অথবা পাওনাদার যদি ঋণ পরিশোধের জন্য অবকাশ দিয়ে থাকে আর সে ওমরাহ থেকে ফিরে সহজে ঋণ পরিশোধ করতে পারে, তাহলে ওমরাহ পালন করা বৈধ হবে।
কিন্তু পাওনাদার যদি অবকাশ না দেয় এবং ওমরাহ করতে যাওয়ার কারণে ঋণ পরিশোধে বিলম্ব হয়, তাহলে এমন ব্যক্তির উচিত আগে তার ঋণ পরিশোধ করা। কেননা বান্দার হক আদায় করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
অবশ্য এমতাবস্থায়ও যদি কেউ ওমরাহ করে ওমরাহ হয়ে যাবে।
ওমরাহ ইসলামে ফজিলতপূর্ণ আমল হলেও এটি ওয়াজিব বা অপরিহার্য কোনো আমল নয়, বরং মুস্তাহাব আমল। সামর্থ্য থাকলে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সওয়াবের জন্য ওমরাহ করা যেতে পারে।
কারো যদি যথাযথ সামর্থ্য না থাকে, ওমরাহ করলে পরিবারের ওয়াজিব হক আদায় করতে না পারার আশংকা থাকে, কেউ যদি ঋণগ্রস্ত হয় এবং ঋণ পরিশোধ না করে ওমরাহ করলে পরবর্তীতে ঋণ পরিশোধ করা কষ্টকর হয়ে পড়ার আশংকা থাকে বা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে না পারার আশংকা থাকে, তাহলে ইসলামের দৃষ্টিতে তার কর্তব্য হলো, নফল ওমরাহর চেয়ে পরিবারের ওয়াজিব হক আদায় ও ঋণ পরিশোধ করাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া।
হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সক্ষম ব্যক্তির টালবাহানা করা অত্যাচারের শামিল। (সহিহ মুসলিম: ৩৮৫৬)
দুনিয়াতে বেঁচে থাকতে ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য থাকার পরও ঋণ পরিশোধ না করলে পরকালে নিজের আমল দিয়ে এবং ঋণদাতার গুনাহের বোঝা নিজের কাঁধে নিয়ে ওই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বান্দার হক আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। আল্লাহর পথে শাহাদাত বরণ করলেও ঋণ মাফ হয় না।