
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৯ এএম
শেয়ারের জাকাত দেবেন যেভাবে

ইসলাম ও জীবন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৪১ এএম

আরও পড়ুন
যদি ব্যবসা/বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কোন কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করে অর্থাৎ, শেয়ার ক্রয় করার মূল উদ্দেশ্য কোম্পানির লভ্যাংশ অর্জন করা নয় বরং শেয়ার বেচা-কেনা করে লাভবান হওয়া উদ্দেশ্য হয়, তাহলে শেয়ারের সম্পূর্ণ মূল্যের উপর জাকাত ফরজ হবে।
তবে কোম্পানির জমি, বিল্ডিং ও মেশিনারিজ বাবদ যে অর্থ ব্যয় হয়েছে ওই অর্থের জাকাত আসবে না। উদাহরণস্বরূপ তিন কোটি টাকার কোম্পানি। তন্মধ্যে জমি, বিল্ডিং ও মেশিনারিজের দাম হবে এক কোটি টাকা। আর বাকী মালামালের দাম হবে দুই কোটি টাকা। তাহলে এই শেষোক্ত দুই কোটি টাকার জাকাত দিতে হবে।
লক্ষ্যণীয় যে, শেয়ারের ক্রয় মূল্য এবং শেয়ারের লভ্যাংশ উভয়টার উপর জাকাত ফরজ হবে। শর্ত হল, শেয়ারের দ্বারা দিনদিন লাভবান হতে হবে। তখন শেয়ারের ক্রয়মূল্য ও লভ্যাংশ উভয়টি থেকে শতকরা আড়াই টাকা হিসেব ধরে জাকাত দিতে হবে।
আর যদি শেয়ার দ্বারা লাভ না হয়ে থাকে, তাহলে শেয়ারের বাজার দর ধরে জাকাত আদায় করবে। তখন শেয়ারের ক্রয় মূল্যের কোন ধর্তব্য হবে না।
বর্তমানে দুই ধরনের শেয়ারহোল্ডার লক্ষ্য করা যায় : ক. যারা আইপিও-তে অংশগ্রহণ করে শেয়ার খরিদ করে থাকে কোম্পানির বার্ষিক ডিভিডেন্ড (লভ্যাংশ) পাওয়ার উদ্দেশ্যে।
খ. যারা ক্যাপিটাল গেইন করে অর্থাৎ শেয়ার বেচা-কেনাই এদের মুখ্য উদ্দেশ্য থাকে; কোম্পানির ঘোষিত লভ্যাংশ নেওয়া এদের মূল উদ্দেশ্য থাকে না।
শেয়ারের জাকাতের ক্ষেত্রে উপরোক্ত দুই গ্রুপের হুকুম ভিন্ন। যারা শুধু ব্যবসায়ী পণ্য হিসেবে শেয়ারের কারবার করে থাকে তারা জাকাত আদায় করবে শেয়ারের মার্কেট ভ্যালু হিসাবে। তাদের জাকাতের বছর যেদিন পূর্ণ হবে ওই দিন শেয়ারবাজারে ওই শেয়ারের যে মূল্য থাকে সে মূল্য হিসাব করেই জাকাত আদায় করবে।
আর যারা কোম্পানির ডিভিডেন্ট (লভ্যাংশ) হাসিলের জন্য কোনো কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করে থাকে তারা ওই কোম্পানির ব্যালেন্সশীট দেখে জাকাত পরিশোধ করবে।
এক্ষেত্রে ব্যালেন্সশীট দেখে কোম্পানির ফিক্সড এসেট্স (স্থায়ী সম্পদ) এ শেয়ার অনুযায়ী তার যতটুকু অংশ রয়েছে তত টাকা জাকাতের হিসাব থেকে বাদ দিতে পারবে। অবশিষ্ট মূল টাকা ও কোম্পানি ঘোষিত লভ্যাংশ (নগদ, বোনাস শেয়ার ইত্যাদি) এর জাকাত প্রদান করতে হবে।
প্রকাশ থাকে যে, এখানে শুধু শেয়ারের জাকাতের হুকুম বলা হয়েছে, শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের শরয়ী হুকুম এখানে বর্ণনা করা হয়নি। কোনো কোম্পানির শেয়ার কিনতে হলে সে সম্পর্কে কেনো বিজ্ঞ মুফতির কাছে আগেই জিজ্ঞাসা করে নিতে হবে।